পর্নোগ্রাফির ফাঁদে ভিকারুননিসার ছাত্রী-পরিমলের মত শেষমেষ পাকরাও শাওন
দিনা করিম : পর্নোগ্রাফির ফাঁদে ফেলে ভিকারুননিসার এক ছাত্রীর সর্বস্ব লুট করে শাওন নামের এক লম্পট।শেষমেষ পরিমলের মত পাকরাও হয় শাওন।আদালত সূত্র জানায়, ভিকারুননিসা নূন স্কুলের এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাদে ফেলে ধর্ষণ এবং ধর্ষণকালীন সময়ে ভিডিও ধারন করে ধর্ষিতা ছাত্রীর বাবার কাছে প্রেরণ করে এবং ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় আশিকুর রহমান শাওন (২৩) নামে এক যুবক।
ধর্ষণকালে ভিডিওচিত্র ধারণ এবং তা ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় আশিকুর রহমান শাওন (২৩) নামে এক যুবককে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন। ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি ফোরকান মিয়া জানান, ধর্ষণ এবং পর্নোগ্রাফি দুই আইনেই মামলাটির বিচার হয়। বিচারে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে আসামিকে খালাস দেয়া হলেও পর্নোগ্রাফি আইনে তাকে ৫ বছর কারাদণ্ড এবং ২ লাখ জরিমানা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার অভিযোগে জানা হয়, আশিকুর রহমান শাওন নামে রাজধানীর ১/৯, জাহানারা মঞ্জিল, উত্তর আদাবরের এক ভাড়াটিয়া যুবক স্কুলে আসা যাওয়ার পথে ভিকারুননিসা নূন স্কুল ধানমন্ডি শাখার সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো। এক সময় আশিক ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়।
ছাত্রীর বাবা বিষয়টি জানতে পেরে আশিককে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করার পরও আসামি ছাত্রীকে প্রলোভনে ফেলে ২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ২ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তার বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে এবং গোপনে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে।
পরে ভিডিওগুলো ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ছাত্রীর বাবাকে ব্ল্যাকমেইল করে। ছাত্রীর বাবা ভিডিও প্রকাশের ভয়ে আশিকের কথা মতো কাজ করতে থাকেন। আসামি আশিক ধর্ষণের ভিডিও, একটি চিঠি এবং এক টুকরো কাফনের কাপড়সহ ছয়টি নগ্ন ছবি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ছাত্রীর বাবার কাছে পাঠায়।
চিঠিতে ছাত্রীর বাবাকে তার (আশিকের) কাছে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মাফ চাইতে বললে ছাত্রীর বাবা মাফ চাওয়ার পরও আশিক তাকে (ছাত্রীর বাবাকে) মারধর করে এবং তার গাড়ি ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ছাত্রীর বাবাকে মারধর এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আশিক ধর্ষণের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। পরে ২০১৪ সালের ১২ জুন ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করা হয়।