পরিবারসহ জঙ্গি মারজানের বোনের আত্মসমর্পণ
যশোর প্রতিনিধি : যশোর জঙ্গি আস্তানা থেকে আত্মসমর্পণ করেছে মারজানের বাবা মা। একই সময় বাবা- মার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিন ছেলে মেয়েসহ আত্মসমর্পণ করেছেন জঙ্গি মারজানের বোন খাদিজা। সোমবার বিকেলে ৩টার দিকে তিনি ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে বের হয়ে আত্মসমর্পণ করেন বলে জানিয়েছেন যশোর পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।
তিনি জানান, এ বিষয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবিব আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফ করবেন। তিনি বলেন, বাড়িতে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কাজ করছে।সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, খাদিজার ছেলে একটি ও মেয়ে দুটি। তাদের বয়স দেড় থেকে পাঁচ বছর।
এর আগে যশোরে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার সঙ্গে জড়িত ও পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত জঙ্গি নুরুল ইসলাম মারজানের বোন খাদিজাকে সনাক্ত করতে তার বাবা-মাকে নিয়ে পাবনার পুলিশ যশোর জঙ্গি আস্তানায় পৌঁছে। সোমবার দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার জিহাদুল কবীর এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার জানান, মারজানের বোন খাদিজা যশোরের ওই আস্তানায় আছে- এমন খবর পাওয়ার পর তাকে সনাক্ত করার জন্য যশোর পুলিশের অনুরোধে পাবনার পুলিশ তার বাবা নিজামুদ্দিন ও মা সালমা খাতুনকে নিয়ে যশোর রওনা হয়। পরে দুপুরে তারা যশোরে পৌঁছেছে।
পাবনা শহরের পাটকিয়াবাড়ির গ্রামের নিজামুদ্দিন এবং সালমা খাতুনের বড় ছেলে নুরুল ইসলাম মারজান হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিলেন। কাউন্টার টেরিরিজম ইউনিটের সঙ্গে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারজান নিহত হন। সোমবার ভোরে যশোর শহরের সেন্ট্রাল রোডের বাইলেনে অবস্থিত জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে চারতলা ভবনটি ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
ওই বাড়ির মালিক যশোর জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক হায়দার আলী জানান, বাড়ির দ্বিতীয়তলার ভাড়াটিয়া মশিউর রহমানের ফ্ল্যাটে জঙ্গি রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তিনি একটি হারবাল কোম্পানিতে চাকরি করেন। খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ জানান, ঘিরে রাখা জঙ্গি আস্তানায় নুরুল ইসলাম মারজানের বোন খাদিজা থাকতে পারেন।
ডিআইজি বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর রয়েছে; ওই ফ্লাটে ভাড়াটিয়া মশিয়ার রহমানের স্ত্রী খাদিজা জঙ্গি মারজানের বোন। এদিকে জঙ্গিদের আত্মসর্ম্পণ করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ফ্লাটে অবস্থানকারী জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
তিনি জানান, চার তলা ভবনের আট ইউনিটের মধ্যে সাত ইউনিটের বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা হয়েছে। দ্বিতীয় তলার ওই ইউনিটে অন্যদের সাথে তিনটি শিশু রয়েছে। এ কারণে তাদের আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এতে তারা যদি আত্মসমর্পণ না করে তাহলে অভিযান চালানো হবে।