পরকীয়া ঢাকতে মায়ের সহযোগীতায় মেয়ে ধর্ষিত
ঝালকাঠী,প্রতিনিধি : পরকীয়া ঢাকতে মায়ের সহযোগীতায় মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে। ঝালকাঠীর রাজাপুরের কেওতা গ্রামে 
দশম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে ধর্ষক দুলাল হাওলাদার ও ধর্ষনে সহযোগিতার অভিযোগে তার মা সেনোয়ারা বেগমকে আসামি করে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছেন।
গত সোমবার রাতে রাজাপুর থানায় মামলা দায়েরের পর আজ সকালে ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষক দুলাল কেওতা গ্রামের মৃত মালেক হাওলাদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই স্কুলছাত্রীর বাবা গত ১০ বছর ধরে নিখোঁজ থাকায় মা সেনোয়ারা বেগম তার দুই মেয়েকে নিয়ে রাজাপুরের কেওতা গ্রামের নানা বাড়িতে বসবাস করতেন।
ওই বাড়িতে আইনজীবী পরিচয়দানকারি দুলালের আসা যাওয়ার সুবাদে স্কুলছাত্রীর মায়ের সাথে দুলাল অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। মায়ের সম্পর্ক ধামাচাপা দিতে মা তার বড় মেয়েকে দুলালের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের চাপ দেয়। পরে বিয়ের প্রলোভনে মায়ের সহযোগিতায় ওই স্কুলছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষন করে দুলাল।
পরে স্কুলছাত্রী বিয়ের জন্য দুলালকে চাপ দিলে তিনি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে স্কুলছাত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রী সোমবার রাতে ধর্ষক দুলাল হাওলাদার ও তার মা সেনোয়ারা বেগমকে ধর্ষনের সহযোগি হিসেবে আসামি করে রাজাপুর থানায় নারি ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা (নং-২১) দায়ের করেন।
অপরদিকে ওই স্কুলছাত্রী বুধবার সকাল ১১টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ধর্ষক ও তার মায়ের দ্রুত বিচার ও গ্রেপ্তারের দাবী করেন। এসময় তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা করতে গিয়ে সে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
রাজাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ওই স্কুলছাত্রী ধর্ষক ও তার মায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আমরা তাদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছি। এছাড়া স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝালকাঠী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
