• মঙ্গলবার , ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

পরকীয়ার লালসায় ট্রাঙ্কে ঢুকে প্রাণ গেল প্রেমিকের


প্রকাশিত: ২:০৫ এএম, ১১ জুলাই ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৫ বার

মুজাফ্ফরগড় থেকে বাবু চৌধুরী   :   পরকীয়ার লালসায় ট্রাঙ্কে ঢুকে প্রাণ গেল প্রেমিকের । চাচাতো 1বোন রানি বিবির সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক মুশতাক আহমেদের। গতকাল শনিবার রাতে রানির সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু পরিবারে সদস্যরা তা বুঝতে পারলে রানি মুশতাককে ঘরের একটি ট্রাঙ্কে ঢুকিয়ে তালা মেরে দেন। অনেকক্ষণ সেখানে 2আটকে থাকায় শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যান মুশতাক। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন এই প্রেমিক।

পুলিশের বরাত দিয়ে আজ রোববার বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে এ কথা বলা হয়েছে।পুলিশ জানায়, চাচাতো বোন রানি বিবির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বিবাহিত মুশতাক আহমেদের। গতকাল শনিবার রাতে রানির সঙ্গে দেখা করতে যান মুশতাক। রানির পরিবারের সদস্যরা তখন ঘুমিয়ে আছেন।

২২ বছর বয়সী মুশতাক ঘরে ঢোকামাত্রই রানি বিবির বাবা ও দেবর জেগে ওঠেন। কী করবে ভেবে না পেয়ে রানি তাঁর প্রেমিককে তৎক্ষণাৎ একটি বড় ট্রাঙ্কে লুকিয়ে রাখেন। ট্রাঙ্কে তালাও মারেন দুই সন্তানের জননী রানি।

পুলিশ জানায়, বাড়িতে কেউ ঢুকেছে, এটা বুঝতে পেরে রানি বিবির শ্বশুর ও দেবর খোঁজা শুরু করেন। কিন্তু কিছুতেই কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এদিকে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় মুশতাক আহমেদ সাহায্যের জন্য চিৎকার দিয়ে ওঠেন। কিন্তু ট্রাঙ্কের তালা আর খোলা হয়নি। তালা না খোলায় ১৫ মিনিট পরে মারা যান মুশতাক আহমেদ।

রানি বিবির স্বামী করাচিতে চাকরি করেন। তিনি ঘটনার দিন বাড়িতে ছিলেন না। স্থানীয় থানার প্রধান সরদার মুহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘মুশতাক আহমেদকে হত্যার অভিযোগে রানি বিবির শ্বশুর ও তাঁর দুই সন্তানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, রানি বিবির স্বামী মুজাফফরগড় থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর করাচিতে চাকরি করেন। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না।মুজাফফরগড় জেলার পুলিশপ্রধান আহমেদ মালিক ওই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।