• রোববার , ১৭ নভেম্বর ২০২৪

পবিত্র মাহে রমজানের রোজা শুরু রোববার


প্রকাশিত: ৮:১৩ পিএম, ২৬ মে ১৭ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২০৩ বার

Ramzan-www.jatirkhantha.com.bdস্টাফ রিপোর্টার :  আজ দেশের কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে রোজা শুরু রোববার থেকে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাঁদ দেখা না যাওয়ায় শুক্রবার চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান। তিনি বলেন দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় রোববার থেকে রোজা শুরু হবে।

শনিবার দিনগত রাতে তারাবি নামাজ আদায় ও সেহরি খেয়ে বাংলাদেশের মানুষ রোজা রাখবেন রবিবার। শুক্রবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে বসে চাঁদ দেখা কমিটির সভা। দেশের কোথাও থেকে চাঁদ দেখার কোনো সংবাদ পায়নি কমিটি।

ধর্মমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, দেশের কোথাও চাঁদ দেখার খবর পাওয়া যায়নি। শনিবার ১৪৩৮ হিজরির পবিত্র শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে। রবিবার থেকে শুরু হবে রমজান। এদিকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শনিবার শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে প্রতিবারের মতো এবারও পড়া হবে খতমে তারাবি।

এক্ষেত্রে দেশের সব মসজিদে বায়তুল মোকাররমের পদ্ধতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামি ফাউন্ডেশন। বলা হয়েছে, রমজান মাসে দেশের প্রায় সকল মসজিদে খতম তারাবিতে পবিত্র কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত না করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনও কোনও মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।

এতে করে কর্মজীবী- যারা বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন, তাদের পক্ষে কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন। এ পরিস্থিতি নিরসনে রমজানের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৭ রমজান রাতে, অর্থাৎ পবিত্র লাইলাতুল কদরে কোরআন খতম করা সম্ভব।

এর আগে বিষয়টি নিয়ে দেশবরেণ্য আলেম, পীর-মাশায়েখ, খতিব-ইমামদের সঙ্গে আলোচনা হলে তারাও এ পদ্ধতিতে খতম তারাবি পড়ার পক্ষে অভিমত দিয়েছিলেন এবং সে মোতাবেক অধিকাংশ মসজিদে এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

এ অবস্থায় দেশের সকল মসজিদে খতম তারাবিতে প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরে কুরআন খতমের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মসজিদের ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে বিনীত অনুরোধ জানানো হচ্ছে।