• রোববার , ৯ মার্চ ২০২৫

পঞ্চগড় সীমান্তে ফের বাংলাদেশী মারল ভারত


প্রকাশিত: ৫:২০ পিএম, ৮ মার্চ ২৫ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮ বার

বিশেষ প্রতিনিধি/পঞ্চগড় প্রতিনিধি : সীমান্ত হত্যার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি জোর আহবান জানানো হলেও ভারত কথা রাখেনি। পঞ্চগড়ের ভিতরগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আল-আমিন (৩৬) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৮ মার্চ) ভোরে সদর উপজেলার কাজীরহাটের উত্তর তালমা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত আল-আমিন পঞ্চগড় সদর উপজেলার হারিভাষা ইউনিয়নের জিন্নাতপাড়া গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে।

ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের চার দিনব্যাপী (১৭-২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) ৫৫তম সীমান্ত সম্মেলনে সীমান্তে নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো/হত্যা/আহত/মারধরের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার কথা ছিল।ওই সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে।

অন্যদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে।এই সম্মেলনের প্রায় দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত হতে না হতেই আবারও লাশ পড়ল পঞ্চগড়ে। এ প্রেক্ষিতে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে এত ঢাক ঢোল পিটিয়ে কি লাভ হচ্ছে সীমান্ত সম্মেলন করে?

আমাদের পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানায়, পঞ্চগড়ের ভিতরগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আল-আমিন (৩৬) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৮ মার্চ) ভোরে সদর উপজেলার কাজীরহাটের উত্তর তালমা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আল-আমিন পঞ্চগড় সদর উপজেলার হারিভাষা ইউনিয়নের জিন্নাতপাড়া গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় আল-আমিন কাজীরহাটের উত্তর তালমা এলাকায় ভারতীয় সীমান্তের কাছে গেলে বিএসএফ তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে আল-আমিন নিহত হন। এরপর বিএসএফ তার মরদেহ ভারতে নিয়ে যায়।

বিষয়টি জানার পর সকালে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা সীমান্ত পিলার ৭৪৪/৭-এস এলাকায় ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেন। বৈঠকে এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে মরদেহ ফেরতের আহ্বান জানান।