নয়া টাইগার তৈরী করবে এইচপি-৮ কোটি টাকায় হাইপারফরম্যান্স ইউনিট শুরু
বাদশা খন্দকার.ঢাকা: আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো বাংলাদেশ ক্রিকেটের হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের। প্রায় আট কোটি টাকা (এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যয় ধরা হয়েছে এ কর্মসূচিতে। আজ শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো এইচপি কর্মসূচির রূপরেখা।
বিসিবির এইচপি-উদ্যোগ নতুন নয়। প্রথম শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালে। অস্ট্রেলিয়ান কোচ রিচার্ড ম্যাকিন্সের অধীনে সেটা ছিল মূলত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে। আজকের মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, শাহরিয়ার নাফীস, মেহরাব হোসেন জুনিয়রসহ অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার উঠে এসেছেন ওই কর্মসূচি থেকে। এবার সাফল্যের পরিধিটা আরও বাড়বে, এমনই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এইচপি চেয়ারম্যান ও বিসিবির সহসভাপতি মাহবুবুল আনাম, ডিরেক্টর অব কোচিং পল টেরি এবং এইচপি জেনারেল ম্যানেজার স্টুয়ার্ট কার্পিনেন। এইচপি রূপরেখা তুলে ধরে কার্পিনেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় তৈরি করাই এর মূল উদ্দেশ্য। এ কর্মসূচির আওতায় শারীরিক, টেকনিক্যাল, ট্যাকটিকল ও মানসিক দক্ষতা তৈরি করতে সরবরাহ করা হবে আন্তর্জাতিক মানের সুযোগসুবিধা। বিশ্বমানের প্রতিভা খোঁজা, তাদের বিকাশ ও ব্যবস্থাপনা করা হবে এ কর্মসূচির মাধ্যমে। জাতীয় দলে পারফরম্যান্স বৃদ্ধিতে প্রতিযোগিতামূলক কাঠামো ও সুযোগসুবিধা দিতে সহায়তা করবে এইচপি।’
নতুন চেহারার এইচপি ইউনিটের দল ২২ জনের। যোগ্যতা অনুযায়ী অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে শুরু করে জাতীয় দলের আশপাশে থাকা ক্রিকেটারকে (বয়স ২৫ এর নিচে) এই দলে রাখতে পারবেন নির্বাচকেরা। এবার এইচপি চলবে জুন থেকে শুরু হয়ে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত। জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে এর পরের পর্যায়ের খেলোয়াড়দের গুণগত মান কমিয়ে আনতে কাজ করবে এইচপি প্রোগ্রাম।
শুধু তরুণ প্রতিভাই নয়, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য ১২ মাসের ‘এলিট প্রোগ্রাম’ও থাকছে। সব মিলিয়ে সাতটি প্রোগ্রাম থাকবে এইচপির অধীনে। ৩০ থেকে ৫০ জন খেলোয়াড় সুযোগসুবিধা পাবেন এ কর্মসূচির আওতায়। ছয়জন কোচসহ যুক্ত থাকবেন মোট ৩৬ স্টাফ। যোগ হবেন হাই প্রোফাইলের পরামর্শকও।
এইচপি স্কোয়াডে থাকা ২২ খেলোয়াড়:
টপ অর্ডার: রনি তালুকদার, লিটন কুমার, সাদমান ইসলাম।
মিডল অর্ডার: তাসামুল হক, মাহমুদুল হাসান, সাব্বির রহমান, মুসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, তাইবুর রহমান।
স্পিনার: জুবায়ের হোসেন, সাকলাইন সজিব, নিহাদ-উজ-জামান, নাসুম আহমেদ।
ফাস্ট বোলার: মুস্তাফিজুর রহমান, আবু জায়েদ, শুভাশিষ রায়, মেহেদি হাসান, কামরুল ইসলাম, দেওয়ান সাব্বির।
উইকেটরক্ষক: নুরুল হাসান, জাবিদ হোসেন, ইরফান শুক্কুর।
এলিট প্রোগ্রামের খেলোয়াড়েরা:
ফাস্ট বোলার: আবুল হাসান, আল আমিন, রবিউল ইসলাম, শুভাশিষ রায়, শফিউল ইসলাম, আবু জায়েদ, মেহেদি হাসান, কামরুল ইসলাম, দেওয়ান সাব্বির, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, আবু হায়দার, অনিক ইসলাম, সোহাগ রেজা, মুস্তাফিজুর রহমান, মুক্তার আলী।
ব্যাটসম্যান: রনি তালুকদার, লিটন দাস, সাদমান ইসলাম, তাসামুল হক, মাহমুদুল হাসান, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, তাইবুর রহমান, মো. মিঠুন, সৈকত আলী, আসিফ আহমেদ, আরিফুল হক, মেহেদি মারুফ, মার্শাল আইয়ুব, মেহেরাব হোসেন জুনিয়র, মাইসুকুর রহমান, নাঈম ইসলাম, শামসুর রহমান, রকিবুল হাসান, শাহরিয়ার নাফীস।
স্পিনার: জুবায়ের হোসেন, সাকলাইন সজীব, নিহাদ উজ জামান, নাসুম আহমেদ, সোহাগ গাজী, নূর হোসেন, সানজামুল ইসলাম, ইফতেখার সাজ্জাদ, আহমেদ সাদিকুর, রাহাতুল ফেরদৌস।
উইকেটরক্ষক: নুরুল হাসান, জুবায়ের হোসেন, ইরফান শুক্কুর, লিটন দাস, জসিম উদ্দিন, হামিদুল ইসলাম ও মো. মিঠুন