• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

নৌকা লাঙ্গল ও ধানের শীষের লড়াই পৌরসভায়-হাসিনা এরশাদ ও শাহজাহানের দেবেন মনোনয়ন


প্রকাশিত: ১:০৪ এএম, ২৯ নভেম্বর ১৫ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৯ বার

pouroshova election-www.jatirkhantha.com.bdবিশেষ প্রতিবেদক :   পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) ক্ষেত্রে দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। আর বিএনপির প্রার্থী প্রত্যয়নের ক্ষমতা পেয়েছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান।আজ শনিবার দলগুলোর পক্ষ থেকে পৃথক চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) এ তথ্য জানানো হয়। ইসি সচিবালয়ের উপসচিব শামসুল আলম প্রতিনিধি দলগুলোর কাছ থেকে এ চিঠিগুলো গ্রহণ করেন।

ইসিতে দেওয়া চিঠিতে আওয়ামী লীগ থেকে পৌর নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নাম দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী শেখ হাসিনার একটি নমুনা স্বাক্ষর রয়েছে। বেলা দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক রিয়াজুল কবীর কাওসার চিঠিটি ইসি সচিবালয়ে জমা দেন।

পৌর নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষমতা নিজের হাতে রেখেছেন জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ইসির কাছে জমা দেওয়া চিঠিতে নিজেকেই পৌর নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বলে জানান। চিঠিতে এরশাদ তিনটি নমুনা স্বাক্ষর দেন। জাপার যুগ্ম মহাসচিব নুরুল ইসলাম ইসি সচিবালয়ে ওই চিঠি পৌঁছে দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় পার্টি ২৩৬ পৌরসভাতেই লাঙল প্রতীকে প্রার্থী দেবে।

এদিকে বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের নেতৃত্বে দলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে গিয়ে চিঠি পৌঁছে দেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, দলটির যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহানকে দলের প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অনুলিপিগুলোতে মো. শাহজাহানের একটি নমুনা স্বাক্ষর রয়েছে। আর সেটি সত্যায়িত করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

এদিকে সৈয়দ এমরান সালেহ অভিযোগ করেন, তাদের দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা সত্যায়নের এই চিঠি বিভিন্ন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দিতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে পাচ্ছেন না। অনেক জায়গার নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় বন্ধ পাওয়া গেছে। বিষয়টি বিএনপি ইসিকে জানিয়েছে