• শুক্রবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৪

নির্মম শ্রম শোষণ-ফিফার-মামলা করলো বাংলাদেশি


প্রকাশিত: ৯:১৩ পিএম, ১১ অক্টোবর ১৬ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৪ বার

 

কাতার থেকে ইমরান কাদের : কাতারে ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের নির্মাণকাজে জড়িত একজন kater-fifa-www-jatirkhantha-com-bdবাংলাদেশি শ্রমিক নাদিম শরিফুল আলম নির্মম শোষণের অভিযোগ তুলে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছেন। অতিরিক্ত পরিশ্রম, পর্যাপ্ত খাবার ও বিশ্রামের অভাবে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে আইনি লড়াইয়ে নামছেন এই ২১ বছর বয়সী শ্রমিক।

বিদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে আচরণের জন্য কাতারের সমালোচনা করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা। সোমবারে আলমের করা মামলায় প্রথমবারের মতো ফিফাকে কাঠগড়ায় দাড় করানো হলো। ফিফার সদর দফতরের শহর সুইজারল্যান্ডের জুরিখে করা মামলায় কাতার যেন অভিবাসী শ্রমিকদের ন্যুনতম সুযোগ সুবিধা দেয় সেটা নিশ্চিত করতে ফিফাকে আহ্বান জানানো হয়েছে। শরিফুলের সঙ্গে আছে নেদারল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শ্রমিক ইউনিয়ন।
222
আলম এই মামলায় ১১ হাজার ৫শ ডলার জরিমানা দাবি করেছেন। তার এখানে কাজ নিতে নিয়োগকর্তাকে ৪ হাজার ডলার দিতে হয়েছে। জুরিখের বাণিজ্য বিষয়ক আদালতে পাঠানো মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, কাতারে পৌছনোর পরই নাদিম শরিফুল আলমের পাসপোর্ট নিয়ে নেয়া হয়। আর্জিতে উল্লেখ করা হয়, পরবর্তী ১৮ মাস তাকে অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। জাহাজ থেকে নির্মাণ সামগ্রী খালাসের কাজ করতেন আলম।

শ্রমিকদের থাকার জন্য বানানো বড় একটি ক্যাম্পে তিনি কার্যত বন্দী ছিলেন, সেখানেই ছিল খাবারের ব্যবস্থা। আবেদনে আলম জানিয়েছেন, যখন তাকে চাকরীচ্যুত করে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়, তার হাতে এত অল্প অর্থ ছিল যে নিয়োগকারী সংস্থার ফি মেটানোর অর্থ তার কাছে ছিল না।

কাতার সরকারের মুখপাত্রর সঙ্গে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। ফিফার একজন মুখপাত্র এই বিষয়ে আইনি চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। নেদারল্যান্ডের প্রভাবশালী শ্রমিক সংগঠন দ্য ডাচ ফেডারেশন অব দ্য ট্রেড ইউনিয়নস আলমের পাশে দাঁড়িয়েছে। সংস্থাটির আইনজীবী লিসবেথ জেগভেল্ড বলেন, ফিফার প্রভাবে কাতারের মতো মুসলিম দেশ বিশ্বকাপের সময় প্রকাশ্যে বিয়ার ও অ্যালকোহল সেবনের অনুমতি দিয়েছে। তাহলে যেসব প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের পর্যাপ্ত বেতন দেয় না, জোর করে সেখানে আটকে রাখে তাদের বড় অংকের জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করাটি তাদের জন্য খুব কঠিন হবে?