নির্বাচনী সহিংসতায় কুমিল্লা ও নরসিংদীতে আ’লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী নিহত
ডেস্ক রিপোর্টার : কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় এবং নরসিংদীর রায়পুরায় নির্বাচনী সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে তাপসচন্দ্র দাস (২৩) নামে বিদ্রোহী প্রার্থীর এক কর্মী এবং নরসিংদীর রায়পুরায় বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী সুমন নিহত হয়েছেন।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ভোট কেন্দ্রের সামনে বিদ্রোহী প্রার্থী তাপসচন্দ্র দাসকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।শনিবার ভোট শুরুর পর পরই মাধবপুর ইউনিয়নের চানলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এসআই হুমায়ুন বলেন, কেন্দ্রে আসার পথে ওই বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীর ওপর হামলা করা হয়।এদিকে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা বিদ্রোহী প্রার্থীর এক সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচন চলাকালিন রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর রংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরো ৫ জন। তাদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।রায়পুরা থানা পুলিশ জানায়, জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে শ্রীনগর রংপুর কেন্দ্রে আওয়ামীলীগ প্রার্থী রিয়াজ মোর্শেদ খান রাসেল ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আযান চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এসময় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক সুমন হোসেন নামে এক যুবককে কিরিস দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এছাড়া এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন টেঁটাবিদ্ধ হন।আহতদের সবাইকে নরসিংদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুমনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সেখান থেকে সুমনকে ঢাকায় পাঠানো হলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত সুমন বিদ্রোহী প্রার্থী আযান চৌধুরীর ভাগিনা।পুলিশ জানায়, এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেন তারা।এদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক নিহত হওয়ার ঘটনায় ওই ইউনিয়নে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।