• বুধবার , ২০ নভেম্বর ২০২৪

নিম্নচাপ-অবিরাম বৃষ্টিতে অচল সারাদেশ


প্রকাশিত: ২:২৩ পিএম, ২১ অক্টোবর ১৭ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৫ বার

বিশেষ প্রতিনিধি :  টানা তিনদিন বৃষ্টির কারণে শনিবার রাজধানীসহ সারাদেশ। ঢাকার বিভিন্ন স্থানের রাস্তা তলিয়ে গেছে। অবিরাম বৃষ্টির কারণে Rain-dhaka-www.jatirkhantha.com.bd.1ডুবে যাওয়া ঢাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে স্কুলগামী শিশুরাসহ চাকুরিজীবীরা। রাজধানীর গ্রিনরোড, ধানমণ্ডি, মিরপুর, গ্রিনরোড, তেজকুনি পাড়া,  খিলগাঁও, নয়াপল্টন, কাকরাইল, মৌচাক, সিদেশ্বরী, শুক্রাবাদ,  মগবাজার, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে।
Rain-dhaka-www.jatirkhantha.com.bd
ঢাকার বৃষ্টিতে বাড়তি ভোগান্তি সৃষ্টি করে সড়কের যানবাহন। বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যাওয়ার কারণে বাস, লেগুনাসহ সব যানবাহন রাস্তায় নেই বললেই চলে। বৃষ্টিতে ভিজে অনেকে নিজের গন্তব্যের উদ্দেশে রওয়ানা দিতে দেখা গেছে। অনেকে আবার দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে যানবাহনের সন্ধান পেয়েছেন।বেশ কিছু স্কুল-কলেজ বৃষ্টির কারণে বন্ধ থাকলেও অফিসের উদ্দেশে চাকুরিজীবীদের বের হতে হচ্ছে চরম ভোগান্তির মধ্যেই। তবে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি কম।

চাকুরিজীবী নাসরিন বলেন,   জিগাতলার নতুন রাস্তা থেকে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত কোমর সমান পানি থাকার কারণে যানবাহন একেবারেই নেই । রিকশা যা আছে তাও অধিক ভাড়ায় আসছে। ২০ টাকার ভাড়া এখন দিতে হচ্ছে ৬০ টাকা।
মগবাজার থেকে সকালে অফিসের উদ্দেশে বের হওয়া শফিকুর রহমান বলেন, বাসার সামনে হাঁটু সমান পানি। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে একটা রিকসা পেয়ে পানি পার হতেই রিকসাভাড়া দিতে হলো ২০টাকা। এরপর বিজয়নগরে আসতে ভাড়া গুনতে হলো ১০০টাকা।

এদিকে সারা রাজধানীতে  খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, অলি গলিসহ সব রাস্তায় পানি উঠে একাকার। এরমধ্যে মগবাজার মধুবাগ থেকে ওয়ারলেস মোড় পর্যন্ত হাঁটু পানি, মৌচাক এলাকায় সিরাজুল ইসলাম হাসপাতালের সামনে পানি, মৌচাক সিআইডি অফিসের সামনে থেকে কর্নফুলি মার্কেটের সামনে পর্যন্ত হাটু পানি, একই অবস্থা শান্তিনগর, বিজয়নগর, মালিবাগ, রামপুরা, আবুল হোটেল  ও মিরপুর পল্লবী এলাকায়।
Rain-dhaka-www.jatirkhantha.com.bd.2
এদিকে আবহাওয়ার অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন (০৩) নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা যাচ্ছে। একই সঙ্গে মাছধরা ট্রলার ও নৌকাসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আবহাওয়ার সবশেষে আপডেটে বলা হয়েছ, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ু চাপের তারতম্য আধিক্য বিরাজ করছে। ফলে গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।এজন্য উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।