নিজের ফাঁসি চাইল সেই বদরুল-আদালতে সাক্ষ্য দিল খাদিজা
সিলেট প্রতিনিধি : হত্যাচেষ্টা মামলায় সিলেটের কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ রোববার সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে খাদিজার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো আগামী বুধবার (১ মার্চ) মামলার যুক্তিতর্কের তারিখ ধার্য করেছেন। আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩ অক্টোবর বিকেলে সিলেটের এমসি কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্রে বিএ (পাস) পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সময় খাদিজাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন বদরুল। ঘটনার পরপরই জনতা ধাওয়া করে তাঁকে ধরে পুলিশে দেয়। খাদিজাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার ৩ মাস ২২ দিন পর হামলাকারীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হলেন খাদিজা।
আদালত সূত্র জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আদালতে আসেন খাদিজা। আদালত কাঠগড়ায় বদরুলকে হাজির করা হলে খাদিজা হামলাকারী বদরুলকে চিহ্নিত করে তাঁর ওপর হামলার বর্ণনা দেন। এ সময় খাদিজা বদরুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রার্থনা করেন আদালতের কাছে। পরে আইনজীবীদেরও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন খাদিজা।
খাদিজার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বদরুল তাঁর দোষ স্বীকার করেন। তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতের কাছে তাঁর কৃতকর্মের শাস্তি হিসেবে ফাঁসি দাবি করেন। এ সময় বদরুলকে কিছুটা বিচলিত দেখা যাচ্ছিল।
খাদিজাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গত ৫ অক্টোবর বদরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠান আদালত। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বদরুলকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এদিকে ঢাকায় দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে গত শুক্রবার সিলেটে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন খাদিজা বেগম।