নিজামীর শেষ ইচ্ছা পূরণ করেনি তার পরিবার
পাবনা প্রতিনিধি : মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর শেষ ইচ্ছা পূরণ করেনি তার পরিবার। অবশেষে পারিবারিক কবরস্থানে মামার কবরের পাশেই দাফন করা হয় মতিউর রহমান নিজামীর লাশ। বুধবার সকাল ৭টায় পাবনার সাঁথিয়ায় মনমথপুর গ্রামে এই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
অথচ নিজামীর শেষ ইচ্ছা ছিল বাবা-মার পাশে তাকে দাফন করা। কিন্তু বাবা-মায়ের কবরের পাশে প্রচুর জঙ্গল থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিজামীর ভাতিজা আব্দুর রহিম খান।
তিনি জানান, নিজামীর বাবা-মায়ের কবরের পাশে প্রচুর জঙ্গল। যা পরিষ্কার করতে একদিন সময় লেগে যাবে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের এতো সময় দেয়া হয়নি। তাই মামার কবরের পাশেই নিজামীর লাশ দাফন করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধে নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কার্যকর করা হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রায় কার্যকরের পর সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে পুলিশ প্রহরায় অ্যাম্বুলেন্সে করে তার লাশ মনমথ পুরে নেয়া হয়। সেখানে লাশ গ্রহণ করেন সাঁথিয়া থানা নির্বাহী কর্মকর্তা। এরপর তিনি লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ গ্রহণ করেন নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমিন।
এরপর মনমথপুর মাদরাসা মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন নিজামীর ভাতিজি জামাই স্থানীয় আতাইকুলা মাদরাসার সুপারিনটেন্ডেন্ট ক্বারী আহম্মদুল্লাহ। সকাল সোয়া ৬টায় লাশ হস্তান্তরের পর জানাজা নামাজ শেষে দাফন সম্পন্ন করতে ৭টা বেজে যায়।
এদিকে নিজামীর লাশ দান ঠেকাতে গ্রামের প্রবেশপথ দৌলতপুর তিন মাথা এলাকায় জেলা, সদর উপজেলা ও নিজামীর নিজ এলাকার তরুণ প্রজন্ম ছাত্রলীগসহ প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্তরা অবস্থান নিলেও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাদের সরিয়ে দেয়।