নিউজিল্যান্ডকে হারানোর প্রত্যয়ে লড়বে টাইগাররা
স্পোর্টস রিপোর্টার : কাল শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় শুরু হবে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর চ্যালেঞ্জের প্রথম ওয়ানডে। ছয় বছরে প্রথম বারের মত একই সঙ্গে কেন উইলিয়ামসন ও রস টেইলরকে ছাড়া মাঠে নামবে নিউজিল্যান্ড। তাই অনভিজ্ঞ এক ব্যাটিং অর্ডার নিয়েই মাঠে নামতে হবে নিউজিল্যান্ডকে। এটাই সবচেয়ে বড় সুযোগ বাংলাদেশের। কারণ, নিউজিল্যান্ডে রেকর্ডটা মোটেও ভালো নয় বাংলাদেশের। সব মিলিয়ে ব্ল্যাকক্যাপদের ঘরের মাঠে তাদের বিপক্ষে ১৩ ওয়ানডে ও চারটি টি-টোয়েন্টি খেলেছে টাইগাররা। হেরেছে সবকটিই। তাই এবার সুবর্ণ সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই নিউজিল্যান্ডে এসেছে বাংলাদেশ দল, কিন্ত তারপরও সুযোগ থাকছে টাইগারদের সামনে।
ছয় বছরে প্রথম বারের মত একই সঙ্গে কেন উইলিয়ামসন ও রস টেইলরকে ছাড়া মাঠে নামবে নিউজিল্যান্ড। অনভিজ্ঞ এক ব্যাটিং অর্ডার নিয়েই মাঠে নামতে হবে তাদের। এখানেই সবচেয়ে বড় সুযোগ বাংলাদেশের।তামিমের বাজি পেইসাররা সফর শুরুর আগে থেকেই এবার নিউজিল্যান্ডে সফল হওয়ার ব্যাপারে প্রত্যয়ী ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি ব্যাখ্যা করেন তার আত্মবিশ্বাসের কারণও। তামিমের মতে, এবারের পেইস বোলিং আক্রমণ আগের চেয়ে ভালো।
আমাদের পেইস বোলিং অ্যাটাক আগে যতবার এসেছি তার চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। অবশ্যই ভালো করা লাগবে কিন্তু এতটুক বলতে পারি যে এখন যে গ্রুপটা আছে পেইস বোলারদের, তারা খুবই ভালো, বলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।তামিম যোগ করেন, এছাড়া আত্মবিশ্বাসের পারদটাও উঁচু তাদের। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে বিদেশ সফরগুলোতে যেটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় নিজের প্রতি বিশ্বাস। দলে বিশ্বাস আছে তারা কিছু করতে চায়। তো ওটাই আমি আশা করছি যে আমরা প্রথম ম্যাচ থেকেই যে লক্ষ্য আমাদের ভালো করার সেটা যেন আমরা পূর্ণ করতে পারি।
ওদিকে উইলিয়ামসন ছিটকে যাওয়ায় এই সিরিজে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান টম লেইথাম। স্বাগতিকদের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই অনভিজ্ঞ। অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন ডেভন কনওয়ে, নিল ইয়াং, ড্যারিল মিচেলরা। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারদের ওপরই ভরসা রাখছেন অধিনায়ক। এই গ্রুপটির জন্য এটি দারুণ একটি সুযোগ। কিছু নতুন মুখ নিয়ে দল একটু ভিন্ন। আমরা এ বছরে দারুণ ক্রিকেট খেলেছি সাদা ও লাল বলে, সুতরাং আশা করছি সেটাই বজায় থাকবে, বলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক।
নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে বাংলাদেশ দল তাকিয়ে থাকবে মুস্তাফিজুর রহমানের দিকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের ইনসুইঙ্গারের ঝলক দেখিয়েছেন ‘দ্য ফিজ’, সেটি আরও বেশি দেখা যেতে পারে নিউজিল্যান্ডের মাঠে। নিউজিল্যান্ডে অবশ্য এখন পর্যন্ত রেকর্ড তেমন ভালো না মুস্তাফিজের। পাঁচটি ওয়ানডে খেলে পেয়েছেন মাত্র আট উইকেট। তবে সেটি হয়ত মুস্তাফিজ বদলাতে চাইবেন এই সিরিজেই।
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের চোখ থাকবে ওয়ানডে অভিষেকের অপেক্ষায় ডেভন কনওয়ের ওপর। নিউজিল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পর নয় ইনিংসে তিন ফিফটি করেছেন কনওয়ে, গড় ৫২.২৮। বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম জানিয়েছেন, তিন পেইসার নিয়ে মাঠে নামতে চান তারা, সঙ্গে অলরাউন্ডার। সেক্ষেত্রে মুস্তাফিজের সঙ্গে দেখা যেতে পারে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও হাসান মাহমুদকে। আর অলরাউন্ডার হিসেবে একাদশে থাকতে পারেন দুই মেহেদি- মেহেদি হাসান মিরাজ ও মেহেদি হাসান। সেক্ষেত্রে ওয়ানডে অভিষেকও হবে মেহেদির।সাকিব আল হাসানের বদলে একাদশে আসার সম্ভাবনা বেশি মোহাম্মদ মিঠুনের। তবে চোট কাটিয়ে উঠতে পারলে সুযোগ পেতে পারেন মোসাদ্দেক হোসেনও।
বাংলাদেশ সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
সম্ভাব্য নিউজিল্যান্ড একাদশ: মার্টিন গাপটিল, হেনরি নিকোলস, ডেভন কনওয়ে, নিল ইয়াং, টম লেইথাম (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), জিমি নিশাম, ড্যারিল মিচেল, মিচেল স্যান্টনার, টিম নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।