নিউইর্য়র্কে ইমাম খুনে’র সাজা হচ্ছে
নিউইয়ক থেকে মোসলে উদ্দিন : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দিনে দুপুরে বাংলাদেশি ইমাম ও তার সহকারি হত্যার ঘটনায় আসামি অস্কার মোরেলকে ‘ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডার’ অর্থাৎ ইচ্ছাকৃত ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করেছেন নিউইয়র্ক স্টেট সুপ্রিম কোর্ট জুরি।
২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট কুইন্সের ওজোন পার্ক এলাকার আল-ফোরকান জামে মসজিদের ইমাম আলাউদ্দিন আখুঞ্জি ও তার সহকারি তারা উদ্দিন নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বেরিয়ে বাসার পথে যাওয়ার সময় তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় পরবর্তীতে অস্কার মোরেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কুইন্স বোরো’র (আমেরিকান পৌরসভা) ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি রিচার্ড এ ব্রাউন এই হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিবার ও শিশুতে ভরা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে গড়া একটি পাড়ায় ভরদুপুরে অনুভূতিশূন্য আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতা’ বলে অভিহিত করেছেন।রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেন, এই মামলার রায় হয়তো নিহতদের পরিবার ও স্বজনদের কিছুটা হলেও সান্ত্বনা দেবে।
ব্রুকলিনের অধিবাসী ৩৭ বছর বয়সী মোরেলকে প্রায় ৩ সপ্তাহের টানা বিচারকাজের পর শুক্রবার দোষী প্রমাণিত হন। জুরি বোর্ডের সদস্যরা একদিন ধরে পুরো বিচারকাজ বিবেচনা শেষে মোরেলকে একটি ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডার, দু’টি সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার (ইচ্ছাকৃত তবে অপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড) এবং স্থানীয় পারমিট ছাড়া গুলি ভরা আগ্নেয়াস্ত্র ঘরের বাইরে বহন করার অভিযোগে দোষী পেয়েছেন।
১৮ এপ্রিল এই মামলার রায় হবে। জুরির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওইদিন অস্কার মোরেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হবে, যে সাজায় প্যারোলে মুক্তি পাবার কোনো সম্ভাবনা নেই।
নিউইয়র্কে বাঙালি কমিউনিটির অনেকের দাবি, হামলাটি বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে একটি ‘হেট ক্রাইম’ বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক অপরাধ। তবে মামলার সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন, হত্যাকারীর উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয়।