নায়িকার ওপর প্রযোজকের রাহুগ্রাস!
সংবাদ সংস্থা.কলকাতা : নায়িকার ওপর প্রযোজকের রাহুগ্রাস নিয়ে এবার চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
না! এটা সেই ছবি নয়। ‘মিলিয়ন ডলার স্মাইল’- ভিডিওতে টিসকা। ছবি: ইউটিউবের সৌজন্যে। কিন্তু টিসকা আক্রান্ত হয়েছিলেন এক প্রযোজকের লোলুপ দৃষ্টির কবলে।
হিন্দি ফিল্ম হোক বা সিরিয়াল— টিসকা চোপড়া ইন্ডাস্ট্রির বেশ পরিচিত মুখ।‘তারে জমিন পর’-এ তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। দীর্ঘ কেরিয়ারে ভাল-খারাপ বিভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর। কিন্তু এ বার মুখ খুললেন ইন্ডাস্ট্রির কাস্টিং কাউচের সমস্যা নিয়ে। তিনি নিজে এর ফাঁদেও পড়েছিলেন।
টিসকা জানিয়েছেন, কেরিয়ারের শুরুর দিকেই কাস্টিং কাউচের কবলে পড়েছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে শেয়ার করেছেন সেই অভিজ্ঞতার কথা। একদিন এক বিখ্যাত প্রযোজকের ফোন পান নায়িকা। সেই প্রযোজক তাঁর ছবিতে কাস্ট করতে চেয়েছিলেন টিসকাকে। প্রযোজকের নাম না বলে তাঁকে ‘সরীসৃপ’ বলে সম্বোধন করেছেন নায়িকা।
টিসকার কথায়, ‘‘ওই প্রযোজক প্রথমে আমাকে বলেছিলেন কী ভাবে হিল পরে হাঁটতে হয় আমাকে শিখতে হবে, ম্যানিকিওর করাতে হবে। হেয়ার স্পাও করাতে হবে। আমি সে সব কথা খুব সিরিয়াসলি ফলো করতে শুরু করেছিলাম। তখন আমার অন্য এক বন্ধু বলে, ওই প্রযোজকের ছবি করা মানে শুটিং যতদিন চলবে, ততদিন তোমাকে ওর পোষ্য হয়ে থাকতে হবে। সেটাতে তুমি রাজি তো? তখন থেকে আমার সন্দেহের শুরু।’’
এর পর শুটিংও শুরু হয়। মুম্বইয়ের আউটডোর শুটিংয়ে একই হোটেলের একই ফ্লোরে প্রযোজকের পাশের ঘরে থাকার ব্যবস্থা হয় টিসকার। প্রথম দু’দিন ভাল ভাবে শুটিং হয়। তৃতীয় দিন রাতে প্রযোজক নিজের ঘরে রাত ৮টায় টিসকাকে ডিনারের আমন্ত্রণ জানান। ডিনারের পাশাপাশি চিত্রনাট্য নিয়ে আলোচনার কথাও বলেন তিনি। কথামতো টিসকা ঠিক রাত ৮টায় সেই প্রযোজকের হোটেলের ঘরে উপস্থিত হন।
নায়িকার অভিযোগ, তখন সেই ব্যক্তি শুধুমাত্র একটি মেরুন রঙের সার্টিনের লুঙ্গি পরে বসে ছিলেন। আর সেটা এত বিসদৃশ যে টিসকা বিপদের গন্ধ পান। প্রযোজককে নামমাত্র আলিঙ্গন করে কোনও একটা ছুতোয় ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। তার পর আর ওই ছবিটি তিনি করেননি। এমনকী ওই প্রযোজক এর পর বহুবার ফোন করে টিসকার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি আর পাত্তা দেননি বলে জানিয়েছেন নায়িকা।