নাসায় বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর বিস্ময়কর সাফল্য-সূর্যের চেয়ে শত গুণ বড় ৫টি নক্ষত্র আবিস্কার
প্রিয়া রহমান: সূর্যের চেয়ে কয়েক শত গুণ বড় ৫টি নক্ষত্রের সন্ধান দিয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন এক বাংলাদেশী বিজ্ঞানী। উদয়ন স্কুল থেকে নাসায় বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর বিস্ময়কর সাফল্যে তোলপাড় চলছে । এই বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর নাম রুবাব খান (২৯)।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার এই বিজ্ঞানীর নতুন এ আবিষ্কার শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, সারা বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছেন। নাসা গোডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের এই বিজ্ঞানী তার গবেষণা দলকে সঙ্গে নিয়ে সূর্যের চেয়ে কয়েক শত গুণ বড় ৫টি নক্ষত্রের সন্ধান পেয়েছেন।
বুধবার তিনি যখন যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির বার্ষিক সভায় এ ঘোষণা দেন তখন উপস্থিত সবাই একে অন্যের দিকে তাকাতে থাকেন বিস্ময়ে। বাংলাদেশী তরুণ এক বিজ্ঞানী এত বড় আবিষ্কার করে ফেলেছে! বিস্ময় ছড়িয়ে পড়ে চারদিক। মুহূর্তে সে খবর ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। বিশ্ববাসী জেনে যায় রাজধানী ঢাকার উদয়ন স্কুল থেকে এসএসসি ও নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা রুবাব খানের কীর্তিগাঁথা।
তিনি সেই ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় জ্যোতির্বিদ হওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সব সময় জ্যোতির্বিদ্যার বইপত্র ও নিউজলেটার নিয়ে বসে থাকতেন- তার সেই স্বপ্ন যেন সত্যি হতে চলেছে। যেনতেন কথা নয়, উদয়ন স্কুল থেকে নাসার গোডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার। বুধবার তিনি ও তার টিমের গবেষণালব্ধ তথ্য যখন আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির বার্ষিক বৈঠকে উপস্থাপন করছিলেন তখন চারদিকে পিনপতন নীরবতা।
তার কথা মন দিয়ে শুনছিলেন সবাই। রুবাব খান বললেন, খুব বড় ভরের নক্ষত্র সব সময় পাওয়া যায় না। তারা বিরল। তবে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যার বিবর্তনে রয়েছে তাদের ভীষণ অবদান বা প্রভাব। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্টে অবস্থিত তার গবেষণা কেন্দ্র গোডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার। সেখানে গবেষণা দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন রুবাব।
তার এ কৃতিত্বের কথা শুনে ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী প্রফেসর ও রুবাবের বড় বোন সুমাইয়া ফারাহ খান মিডিয়াকে বলেছেন, রুবাব যখন ছোট ছিলেন তখন থেকেই তাদের পূর্বসূরির টেলিস্কোপে আকাশের তারা, নক্ষত্রদের পর্যবেক্ষণ করতেন।
আর তার সঙ্গে জ্যোতির্বিদ্যার বইয়ের ছবি মিলেয়ে দেখতেন। শৈশবেই তার মধ্যে জ্যোতির্বিদ হওয়ার এক অদম্য আগ্রহ ছিল। ভাইয়ের এমন কীর্তিতে তিনি গর্বিত। সুমাইয়া ফারাহ খান বলেন, সাধারণত মানুষ তার পিএইচডির থিসিস উৎসর্গ করেন তার পিতামাতাকে। কিন্তু রুবাব তা করেন নি। তিনি তার থিসিস উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশকে।