• শনিবার , ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

নাশকতার মামলা-আসামি ধরা নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিতে আসামির ছেলে নিহত


প্রকাশিত: ১১:১০ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৫ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১৭ বার

 

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় নাশকতার মামলার আসামি বিএনপির এক নেতাকে ধরতে যাওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে।dddddddddddd
এ সময় পুলিশের গুলিতে ওই আসামির ছেলে নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের তুলশিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, পুলিশের পিস্তল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তির সময় গুলিতে বিএনপি নেতার ছেলে নিহত হয়েছেন।নিহত ব্যক্তির নাম রেজওয়ান। তিনি উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক দলের নেতা হবিবর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় হবিবরের স্ত্রী আম্বিয়া বেগম ও পুলিশের চার সদস্যসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাশকতার মামলার আসামি হবিবর রহমানকে আটক করতে পুনট্টি ইউনিয়নের তাঁর নিজ বাড়িতে যান চিরিরবন্দর থানার পুলিশের ছয় সদস্য। হবিবরকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় হবিবরের স্ত্রী আম্বিয়া বেগম, ছেলে রেজওয়ানসহ পরিবারের লোকজন পুলিশের কাছ থেকে তাঁকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়।

চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, সংঘর্ষের সময় হবিবরের ছেলে রেজওয়ান সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোস্তাফিজুর রহমানের পিস্তল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে রেজওয়ানের ধস্তাধস্তি হয় এবং দুর্ঘটনাক্রমে গুলি বেরিয়ে যাওয়ায় রেজওয়ান গুলিবিদ্ধ হন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

ওসি বলেন, সংঘর্ষে পুলিশের চার সদস্য, রেজওয়ানের মা আম্বিয়া বেগম ও হায়দার আলী নামের একজন আহত হন। রেজওয়ানের বাবা হবিবর পালিয়ে যান।পুলিশের আহত সদস্যরা হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোস্তাফিজুর রহমান ও রবিউল ইসলাম এবং কনস্টেবল হাবিবুল্লাহ ও জাহাঙ্গীর আলম।

পুলিশের ওপর হামলার খবর পেয়ে জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এর মধ্যে এএসআই মোস্তাফিজুর রহমান ও কনস্টেবল হাবিবুল্লাহর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ওসি জানান। তিনি বলেন, রেজওয়ানের লাশ তার পরিবারের কাছেই আছে।
এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর থানা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ আখতারুজ্জামান মিয়ার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি