বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: বিএনপি-জামায়াত জোটের চলমান হরতাল-অবরোধে নাশকতার পেছনে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।গত এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা সহিংসতায় প্রায় ৮০ জনের মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন ১৪ দলের নাশকতাবিরোধী কর্মসূচি ঘোষণা করে রোববার ডাকা সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে এই দাবি করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল বলেন, খালেদা জিয়ার আন্দোলন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। এর সঙ্গে পাকিস্তান সরাসরি জড়িত। পাকিস্তান দূতাবাসের একজন কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।আজও পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের ক্রুদের কাছে ভারতীয় মুদ্রা পাওয়া গেছে। পাকিস্তান পুরোপুরিভাবে এ আন্দোলনে সহযোগিতা করছে। এর কারণ, একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়া।
বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের বিষয়ে তোফায়েল বলেন, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশিরা বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে, আমাদের নিয়ে নয়। আমিও তো উদ্বিগ্ন, শিশুরা উদ্বিগ্ন, সবাই উদ্বিগ্ন।
বিএনপি আন্দোলনের নামে যা করছে, তা সন্ত্রাস। এটা নাশকতা, জঙ্গি তৎপরতা। এদের সঙ্গে কেউ কখনও আপস করেনি। যদি আপস করত, তাহলে বুশ লাদেনের সঙ্গে কথা বলত। যুক্তরাষ্ট্র আইএসের সঙ্গে কথা বলত।নির্দলীয় সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে ২০ দল গত ৫ জানুয়ারি থেকে হরতাল-অবরোধ চালিয়ে গেলেও তাদের অসাংবিধানিক দাবি মানতে নারাজ ক্ষমতাসীন দল।
আওয়ামী লীগ বলছে, চলমান অবস্থা রাজনৈতিক সঙ্কট নয়, নাশকতার জন্য আইনশৃঙ্খলার সঙ্কট তৈরি হয়েছে এবং তা দমন করা হবে।ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, দানবের জায়গা সংলাপের টেবিলে নয়। আদালতের বারান্দা ও কারাগার।
৫ জানুয়ারি বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেওয়ার কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে তোফায়েল বলেন, ওই সিদ্ধান্ত সঠিকই ছিল।৫ তারিখে বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক। কেননা, ওই দিন খালেদা জিয়া নয়াপল্টনে অবস্থান নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তাই আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক।
সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ৫ তারিখ জনসভা করতে দিলে হেফাজতের মতো তিনি (খালেদা জিয়া) নেতাকর্মীদের নিয়ে বসে পড়তেন।সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দলের পক্ষ থেকে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি নাশকতাবিরোধী গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ঢাকার পাশাপাশি প্রতিটি জেলা ও উপজেলা সদরে একই কর্মসূচি পালিত হবে।