নারী পটানোর জাদুকরের বিয়ে বিয়ে খেলা
লাবণ্য চৌধুরী: নারী পটানো এক জাদুকরের বিয়ে বিয়ে খেলার বিস্ময়কর কাহিনী উদঘাটিত হয়েছে। এই জাদুকর প্রথমে বান্ধবী বানায় ।পরে প্রেম প্রেম খেলে। আর এভাবেই দেশে দেশে জুটিয়ে ফেলে বান্ধবী, পরে প্রেম। আর তারপর বিয়ে!’ ফ্রান্স থেকে ফিনল্যান্ড, জাপান থেকে জার্মান- আমেরিকা থেকে আর্জেন্টিনা। অ্যামি, অ্যানি, মারিয়া, মেরি, কেট, কুইন্স কত নামের স্ত্রী যে আছে, সবার নাম হয়তো মনেই নেই তাঁর। তবুও বিয়ের শখ মেটেনি। আর এই বিয়ের শখ থেকেই যুক্তরাজ্যের নাগরিক জন অ্যাড্রেস এখন ৩৪টি দেশের জামাই!
সেই ২৩ বছর বয়স থেকে বিয়ের ইনিংস শুরু তাঁর। ৩৫ বছরে এসে করেছেন অপরাজিত ৯৪ টি বিয়ে! ছয় মাস আগে জাপানে সর্বশেষ বিয়েটি করেন। প্রতিবেদকের প্রশ্ন, সংখ্যায় বিয়ের সেঞ্চুরি করবেন কবে? জন কিন্তু লাজুক হেসে সেঞ্চুরির ব্যাপারটা এড়িয়ে গেছেন।
তবে মুখের লাজুক হাসি ধরে রেখেই জন জানালেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মহিলাদের বিয়ে করাটা তাঁর শখ। তবে এই বিয়ে করার জন্য কারো কাছে মিথ্যা বলেন না জন। কোথাও কোনো লুকাছাপার গল্প নেই। ৯৪ জন স্ত্রীই জানেন তাঁদের আরো ৯৩ জন সতীন আছেন!
কিন্তু এত মেয়েকে পটানোর কঠিন কাজটি কীভাবে সম্ভব হলো? জনের জবাব, ‘আমি দেখতে খুব একটা খারাপ নই। আর ‘প্রেমটাও’ ভালো পারি। আর এভাবেই দেশে দেশে জুটিয়ে ফেলি বান্ধবী, পরে প্রেম। আর তারপর বিয়ে!’
জনের দাবি, তিনি কাউকে ঠকাননি। অন্তব প্রেমের বিষয়ে তো নয়ই। বিয়ের আগে নিজের আগের সব প্রেম-পরিণয়ের কথা জানিয়ে দেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো সবচেয়ে বেশি সময় জন কোন স্ত্রীর সঙ্গে কাটান? জন নিজেই বলেছেন, জার্মান স্ত্রী আনার সঙ্গে। আনাও ছবি আঁকেন।
তবে অল্প একটু দুঃখও আছে জনের। এতজন ভালোবাসার মানুষের মধ্যে বছরে বড়জোড় পাঁচ থেকে ছয়জন স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। অনেকেই আবার তাঁকে ডিভোর্স দিয়ে নতুন করে সংসার পেতেছেন। কেউ হয়তো তাঁর কথা বেমালুম চেপে গেছেন নতুন ¯^ামী পেয়ে। তবু দুঃখ নেই জনের মনে।
সেই নির্দিষ্ট সময়ে তাঁর জন্য ‘স্ত্রীর’ ভালোবাসা তো সত্যি ছিল। এটুকু ভেবেই আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেন ৯৪ স্ত্রীর ¯^ামী জন অ্যাড্রেস।