নব্য জেএমবি’র অর্থদাতা’র ৫ তলা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা
সরেজমিনে আশুলিয়া থেকে মোস্তফা কামাল প্রধান : নাজমুল হক ওরফে আবদুর রহমান ওরফে বাবুর্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৪) সদস্যরা শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার আশুলিয়ার গাজিরচট এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। এ সময় পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে নাজমুল হক ওরফে আবদুর রহমান ওরফে বাবু নামের এক ‘জঙ্গি’ মারা গেছেন।
নাজমুলকে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন জেএমবির মূল অর্থদাতা বলছে র্যাব।নাজমুলের মৃত্যুর বিষয়টি জাতিরকন্ঠকে নিশ্চিত করেন সাভারের সাংসদ এনামুর রহমান। সাভার থানা-পুলিশও নাজমুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অভিযানের সময় র্যাব ওই বাড়ি থেকে নাজমুলের স্ত্রী সাহানাজ আকতার ওরফে রুমা এবং তাঁদের দুই ছেলে ও এক কন্যাশিশুকে আটক করেছে। এ সময় ৩০ লাখ টাকাসহ একটি পিস্তল, মুঠোফোন জ্যামার, অস্ত্র বানানোর নকশা, বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই ও ছোরা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে গাজীরচটের বসুন্ধরা এলাকার আমির মৃধার বাড়ির পাঁচতলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে নাজমুল বারান্দার গ্রিল কেটে পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়েন। র্যাবের তত্ত্বাবধানে তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযান শেষে ঘটনাস্থলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ বলেন, আইনুল পরিচয়ে নাজমুল ছয় মাস আগে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। বাড়ির মালিককে তিনি নিজেকে ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি বলে পরিচয় দিয়েছিলেন।ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, নাজমুল প্রতিটি জঙ্গি হামলায় অর্থের জোগান দিয়ে আসছিলেন।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংসদ বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আটটার দিকে নাজমুল হক মারা গেছেন। সাংসদ আরও বলেন, নাজমুলকে ধরতে র্যাব এর আগে আরও চারবার অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে র্যাব শনিবার ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আহত অবস্থায় তাঁকে আটক করেছিল।