নজরদারিতে আকায়েদ পরিবার-সরকার’ও এলার্ট-
সচিবালয় প্রতিনিধি : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে হামলাকারী আকায়েদের বাংলাদেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এ বিষয়ে সরকার সতর্ক আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রী। সভায় বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার স্থানীয় সময় সকালে ম্যানহাটনের এইটথ অ্যাভিনিউ ও ৪২ স্ট্রিটের কাছে বিস্ফোরণের ঘটনায় চারজন আহত হয়। ওই বিস্ফোরণের পর শরীরে নিম্ন-প্রযুক্তির একটি বোমা বাঁধা অবস্থায় আকায়েদ উল্লাহকে আটক করা হয় বলে দাবি করে দেশটির পুলিশ। আকায়েদ ব্রুকলিন এলাকার বাসিন্দা বলে নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়।
আকায়েদের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। এ ঘটনার পর বাংলাদেশি কমিউনিটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার বাংলাদেশে থাকা আকায়েদের স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ শাখা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট। তবে এই ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আকায়েদের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আজকের সভায় ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়। সভা শেষে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘ঢাকা শহরে ৭৫টিসহ সারাদেশের চার্চগুলোতে বড়দিন উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়া হবে। রাজধানীর ৭৫টি চার্চে পাঁচ হাজার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সভায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে নিরাপত্তা দিতে কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- আগামী ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না, রাত ৮টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র ছাড়া কোনো বহিরাগত থাকতে পারবেন না, বনানী-গুলশান-বারিধারা কূটনৈতিক এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে এলাকার বাসিন্দা ছাড়া বহিরাগতরা ঘোরাফেরা করতে পারবেন না, সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মদের দোকান বন্ধ থাকবে।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তবে কেউ চাইলে ঘরোয়াভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবেন।’