নগদে মিশুকের লুটপাট-মেহেদীকে খুঁজছে পুলিশ
বিশেষ প্রতিনিধি : মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিযুক্ত প্রশাসককে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুকের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন প্রশাসক বদিউজ্জামান দিদার। এ প্রসঙ্গে বনানী থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
পুলিশ জানায়, নগদের মিশুক পলাতক শেখ হাসিনার ঘনিষ্ট সুবিধাবাদীদের একজন। এরা অর্থ পাচারকারী। এই চক্রের অন্যতম টাকা পাচারের এক সহযোগী জনৈক এক গাইড ব্যবসায়ী মেহেদীর সংশ্লিষ্ঠতা রয়েছে। যে মেহেদী গত স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের ভোল পাল্টিয়ে নগদের টাকা পাচারের সহযোগী হয়েছে। গত ১৯ আগস্ট মেহেদীর সঙ্গে মিশুক জুম মিটিং করেছে। এবিষয়গুলি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে গত ৫ সেপ্টেম্বর বনানী থানায় এই জিডি করা হয়েছে। জিডিতে অভিযোগ, নগদের সাবেক সিইও তানভীর এ মিশুক তাকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে খুদেবার্তা পাঠিয়েছেন। তিনি ওই খুদে বার্তায় ‘একধরনের হুমকি বোধ’ করছেন। যার কারণে তিনি এ বিষয়ে জিডির আবেদন করেন।
সরকার পরিবর্তনের পর গত ২১ আগস্ট ‘নগদ’ পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় ছয়জন কর্মকর্তাকে ‘সহায়ক কর্মকর্তা’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরদিন বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডাক বিভাগের কর্মকর্তারা নগদের কার্যালয়ে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন।
তবে অভিযোগের বিষয়ে তানভীর আহমেদ মিশুকের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, নগদে যখন প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত হয়, তখন তিনি বিদেশে অবস্থান করছিলেন। হাসিনা সরকারের পতনের পর তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
নগদের নতুন প্রশাসকের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, নগদে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োজিত প্রশাসক বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ কারণে তিনি থানায় জিডি করেছেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডাক বিভাগ পুরো নগদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। নগদের গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই। এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব সেবা স্বাভাবিকভাবে চলবে।