• বুধবার , ১৩ নভেম্বর ২০২৪

ধানমন্ডির পরিবেশ ফাঁস করলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত


প্রকাশিত: ১১:৫৭ পিএম, ২৩ নভেম্বর ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮২ বার

বিশেষ প্রতিনিধি  :  ধানমন্ডির পরিবেশ ফাঁস করলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মিজানুর রহমান৷ তিনি বললেন,ধানমন্ডিতে প্রায় dhanmondi-car-www-jatirkhantha-com-bd১০০ ইংরেজি মাধ্যম ও অন্যান্য স্কুল আছে। এসব স্কুলের প্রায় প্রত্যেক শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। এতে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ এলাকার প্রতিটি সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এভাবে এই আবাসিক এলাকার পরিবেশ দিনে দিনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

আজ বুধবার দুপুর ১২টায় ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরবরে ‘জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ধানমন্ডি ১২/এ-এর বাসিন্দা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মিজানুর রহমান৷ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি নাগরিকদের এ সমস্যার কথা শুনে তা দ্রুত সমাধানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দেন। এই সভার আয়োজন করেন ডিএসসিসির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকির হোসেন।

মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে ধানমন্ডিতে ১০ মিনিটের পথ যেতে ঘণ্টা পার হয়৷ কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখছে না পুলিশ। অথচ আবাসিক এলাকায় এ ধরনের প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আছে।এ সময় মঞ্চে উপস্থিত থাকা ধানমন্ডি ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার হাসান মোস্তফা বলেন, ধানমন্ডির বিভিন্ন আবাসিক বাসাবাড়িতে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল রয়েছে। কোনো স্কুলেরই নিজস্ব পার্কিং নেই।

ফলে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে সড়কের ওপর প্রায় ৩০০টি ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়মিত পার্ক করা হয়। একাধিকবার জরিমানাও করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এই এলাকার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানান্তর করলে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। অন্যথায় এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল বাসের ব্যবস্থা চালু করতে হবে
ধানমন্ডির ১২/এ এলাকার বাসিন্দা আবদুল আহাদ বলেন, ধানমন্ডি লেকের পাড়ে ময়লা ফেলার পাত্র নেই।

যে যাঁর মতো যত্রতত্র ময়লা ফেলছেন। এতে দুর্গন্ধে লেকের পাড়ে চলাচল করা দায়। অথচ এই লেকে দর্শনার্থীদের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। তিনি বলেন, ধানমন্ডি লেকে অবৈধভাবে মাছ চাষ করা হচ্ছে। মাছের খাবার হিসেবে সারসহ বিভিন্ন খাদ্যোপকরণ দেওয়া হচ্ছে। এতে পানির রং কালচে হয়ে যাচ্ছে।
ধানমন্ডির ৪/এ এলাকার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, ধানমন্ডি লেকসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় পর্যাপ্ত বাতি নেই।

এ কারণে প্রায় রাতেই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ডিএসসিসিকে অবিলম্বে ধানমন্ডিতে এলইডি লাইট স্থাপন করতে হবে। জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, ইতিমধ্যে ধানমন্ডিতে ১১৫টি এলইডি বাতি লাগানো হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরো ধানমন্ডি এলাকায় এলইডি বাতি লাগানো হবে।

ধানমন্ডি লেকের পাড়ে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করার দাবি জানিয়েছেন ৩ নম্বর রোডের বাসিন্দা নাফিস ইমতিয়াজ উদ্দিন। তিনি বলেন, লেকের পাড়ে কোনো ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা) নেই। এতে সন্ধ্যার পর অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যায়।অনুষ্ঠানে সাঈদ খোকন বলেন, পর্যায়ক্রমে পুরো ধানমন্ডি এলাকাকে সিসি ক্যামেরার অধীনে নিয়ে আসা হবে।

এ ছাড়া লেকের সৌন্দর্য বাড়িয়ে এই এলাকাকে একটি মডেল হিসেবে জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এই লেকে মিউজিক্যাল ফাউন্টেন, থ্রিডি লেজার শোসহ পুরো ধানমন্ডিকে নবরূপে সাজানো হবে। এ ছাড়া উচ্চ আদালতের নির্দেশে আবাসিক এলাকার বাণিজ্যিক স্থাপনা ক্রমান্বয়ে অপসারণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এম কে বখতিয়ার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ সালাউদ্দিন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।