ধানমন্ডিতে প্রবাসির ফ্ল্যাট দখলের চেষ্ঠায় সাবেক বিচারক শরীফ
বিশেষ প্রতিনিধি : এবার শরীফ লুৎফর রহমান নামের এক সাবেক বিচারকের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট
জবরদখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর অভিজাত আবাসিক এলাকা ধানমন্ডিতে।শুধু ফ্ল্যাট দখল করেই তিনি ক্ষান্ত হননি ফ্ল্যাটের বিদ্যুত, সিকিউরিটি বিলসহ ফ্ল্যাট ভাড়াও তিনি দিচ্ছেন না গায়ের জোরে।
অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি
সাবেক বিচারক এটাই তার ক্ষমতা। এর বলে তিনি ফ্ল্যাটের মালিক, ফ্ল্যাট মালিক সমিতিকে, স্থানীয় থানা পুলিশকেও তোয়াক্কা না করে নানা ফন্দিফিকির এঁটে হাইকোর্ট দেখিয়ে ফ্ল্যাটটি দখলে রেখেছেন।তবে ফ্ল্যাট মালিক জানিয়েছেন, ওই বিচারক দুর্নীতির দায়ের চাকুরীচ্যুত হয়েছেন।
এনিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করার পর রবিবার সিল এ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাট মালিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওই সাবেক বিচারকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। লিখিত অভিযোগে ওই বিচারককে আগামী ১৯ জানুয়ারীর মধ্যে ফ্ল্যাট ছেড়ে দেয়ার চূড়ান্ত নির্দেশনা জারি করে।
ওই সাবেক বিচারকের ফ্ল্যাট জবর দখলের এই ঘটনাটি ঘটেছে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৭ নম্বর রোডের ২৮ নম্বর বাড়ির সিল এ্যাপার্টমেন্টে। এই এ্যাপার্টমেন্টের এ-২ নম্বর ফ্ল্যাটটির মালিক মিসেস সেলিমা সালাদিন এর পক্ষে ই আর এম সালাদিন।
আমেরিকা প্রবাসি ই আর এম সালাদিন জানান, শরীফ লুৎফর রহমানের সঙ্গে তাঁর ফ্ল্যাট ভাড়ার চুক্তি ছিল ১ মে ২০১৩ ইং পর্যন্ত। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি নতুন করে নবায়ন না করে ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে বলেন শরীফ লুৎফর রহমানকে।
কিন্তু ওই সাবেক বিচারক নানা কৌশলে ফ্ল্যাটটি দখলে রাখার তৎপরতা শুরু করেন। একপর্যায়ে বাড়ি ভাড়াও বন্ধ করে দেন। শুধু তাই নয় ওই সাবেক বিচারক ফ্ল্যাটের বিদ্যুত, সিকিউরিটি বিলসহ ফ্ল্যাট ভাড়াও তিনি দিচ্ছেন না। এ অবস্থায় তিনি থানায় একাধিক জিডি করেও কোন প্রতিকার পাননি। শেষমেশ তিনি সিল এ্যাপার্টমেন্ট ফ্ল্যাট মালিক সমিতির হস্তক্ষেপ কামনা করে তাদের লিখিতভাবে জানান।
পরে ফ্ল্যাট মালিক ও সমিতির লোকজন ওই বিচারককে রবিবার সম্মিলিতভাবে ফ্ল্যাট ছেড়ে দেয়ার চূড়ান্ত নোটিশ দিয়ে আগামী ১৯ জানুয়ারী ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে বলেছে। এর কোন ব্যতিক্রম হলে ফ্ল্যাট মালিকরা ওই বিচারকের মালপত্র নামিয়ে ফ্ল্যাটটির দখল ই আর এম সালাদিনকে বুঝিয়ে দেবেন। বিষয়টি ধানমন্ডি থানার উর্ধ্বতণ কর্মকর্তাদের অবহিত করে একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে।ডাইরী নম্বর-৮১৩।
এ ব্যাপারে ধানমন্ডি থানার ওসি তদন্ত হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।