• শনিবার , ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ধর্ষণের অভিযোগ এনে উল্টো গ্রেপ্তার হলেন এক তরুণী!


প্রকাশিত: ২:১২ এএম, ১৩ জুন ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৭ বার

কাতার থেকে ইব্রাহিম খলিল   :   মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে ঘুরতে যেয়ে ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ 33এনেছিলেন এক ডাচ তরুণী, কিন্তু বিচার পাওয়ার পরিবর্তে উল্টো বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে ওই তরুণীকে গ্রেপ্তার করে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

ওই তরুণীর আইনজীবী বলছেন, মাদকের মাধ্যমে অচেতন করে ধর্ষণ করা হয়েছিল ২২ বছর বয়সী ওই তরুণীকে। জ্ঞান ফেরার পর অপরিচিত একটি ফ্ল্যাটে নিজেকে দেখতে পান আর বুঝতে পারেন তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

ছুটি কাটাতে এসে দোহার একটি হোটেলে ওঠা লরা নামের ওই তরুণীর সঙ্গে গত মার্চে এই ঘটনা ঘটে।ধর্ষণের অভিযোগ আনার পর লরাকে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়।আগামী সোমবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।

যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে তাকেও গ্রেপ্তার করেছে কাতারের পুলিশ।তবে ওই ব্যক্তির দাবি, দুজনের পারস্পরিক সম্মতিতেই মিলিত হয়েছিলেন তারা।ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুই মাসের বেশি সময় ধরে গ্রেপ্তার থাকলেও ওই তরুণীর বিরুদ্ধে এখনও অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি।

গ্রেপ্তারের প্রথম দিন থেকেই তাকে সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মামলা চলার কারণে এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করবে না বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে কাতারের ডাচ দূতাবাস।তরুণীর আইনজীবী বলছে, মাদকের মাধ্যমে অচেতন করে ধর্ষণ করা হয়েছিল ২২ বছর বয়সী ওই তরুণীকে।

তরুণীর আইনজীবী ব্রায়ান লোকোলো নেদারল্যান্ডের একটি রেডিওতে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দোহায় মদ্যপানের অনুমোদন রয়েছে এমন একটি হোটেলে নাচতে গিয়েছিলেন তাঁর মক্কেল।

“কিন্তু এক চুমুক পান করে পাশের টেবিলের দিকে যাওয়ার সময় তিনি ভালো বোধ করছিলেন না এবং তাঁকে কোনো মাদক দেওয়া হয়েছে বলে বুঝতে পারেন।”

মি: লোকোলে আরও বলেন, এরপর কী ঘটেছিল তা আর তার মনে নেই। পরে অপরিচিত একটি অ্যাপার্টমেন্টে জ্ঞান ফেরার পর ধর্ষিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন তিনি।ওই তরুণীর বিরুদ্ধে অ্যালকোহল সম্পর্কিত অভিযোগও আনা হতে পারে বলে দোহা নিউজ তাদের খবরে জানিয়েছে।

নির্দিষ্ট কিছু হোটেলে মদ্যপান বৈধ এবং বিদেশিদের অ্যালকোহল কেনার অনুমতি দেওয়া হলেও কাতারে প্রকাশ্যে মদ্যপান বা মাতাল হওয়া অপরাধ হিসেবে গণ্য।

এর আগে ২০১৩ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে একই রকমভাবে ধর্ষণের অভিযোগ আনার পর বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক, শপথভঙ্গ ও মদ্যপানের অভিযোগে নরওয়ের এক তরুণীকে ১৬ মাসের জেল দেওয়া হয়।পরে অবশ্য তাকে ক্ষমা করে নরওয়েতে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়।