ধর্ষক গুরুরামের ১০ বছর জেল
ডেস্ক রিপোর্টার : দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে ভারতের স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরু গুরমিত রাম রহিম সিংকে দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যজুড়ে টান টান উত্তেজনা আর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে চণ্ডিগড়ের পাঁচকুলার বিশেষ আদালত সোমবার এই রায় ঘোষণা করে বলে এনডিটিভির খবর।
হরিয়ানা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রাম নিওয়াজ রয়টার্সকে বলেন, “দোষীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।” রাম রহিমের আইনজীবীরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। অভিযোগকারী দুই নারীও উচ্চ আদালতে আরও কঠোর শাস্তির আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।
এনডিটিভি জানায়, সিবিআই রাম রহিমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তির আবেদন করেছিল। সিবিআইর এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, এরই মধ্যে সিবিআই রাম রহিমের আরও দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ডের আবেদন করেছে এবং তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।২০০২ সালে নিজের দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগে গত শুক্রবার আদালত রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করলে এই আধ্যাত্মিক গুরুর আশ্রম ডেরা সাচ্চা সওদার ভক্তরা দুই রাজ্যজুড়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়; নিহত হয় ৩৮ জন।
যে কারণে, সোমবার হরিয়ানার রোহতক শহরের বিশেষ কারাগারে বিশেষ আদালত বসিয়ে রাম রহিমের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক জগদীপ সিং। দোষীসাব্যস্ত করার পর রাম রহিম বিশেষ এই কারাগারেই আছেন। রায় ঘোষণার জন্য এদিন বিচারককে হেলিকপ্টারে করে কারাগারের বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এদিন রোহতকের শহরতলীতে অবস্থিত ওই কারাগারে যাওয়ার সবগুলো পথ বন্ধ করে দিয়ে সেখানে তিন হাজার আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। বন্ধ ছিল হরিয়ানার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।প্রতিবেশী রাজ্য পাঞ্জাবেরও কিছু স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়। উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ ও নৈদারও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।
রায় উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রোহতকে বড় ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ করে বাসিন্দাদের ঘরের ভেতর থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। বন্ধ ছিল হরিয়ানার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।যে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে পুলিশকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া ছিল। পূর্ব সতর্কতা হিসেবে ডেরা সাচ্চা সওদার জ্যেষ্ঠ সদস্যদের আগেই আটক করা হয়েছিল বলেও জানায় এনডিটিভি।