ধর্মের সম্মান বজায় রাখা নিজ নিজ ধর্মের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব-প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্মের যথাযথ মর্যাদা রক্ষার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যারা ধর্ম পালনের নামে ধর্ম পালনের একটা ভান করে, তারাই ধর্মে ধর্মে সংঘাত সৃষ্টি করে।
ধর্মের ওপর যাদের বিশ্বাস ও আস্থা আছে, তারা কিন্তু কোনো অন্যায় পদক্ষেপ নিতে পারে না। এটা হলো বাস্তবতা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের শুভ বড়দিন উদ্যাপন এবং আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিওর কার্ডিনাল পদে উন্নীত হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষিবিদ মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ধর্মকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করলে আসলে ধর্মকেই প্রকৃতপক্ষে খাটো করা হয়, মানুষের কাছে ছোট করা হয়, হেয় করা হয়। কিন্তু আমাদের দায়িত্ব যার যার ধর্মকে একটা সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। যেন কেউ কখনো কোনো ধর্ম সম্পর্কে অঙ্গুলিনির্দেশ করতে না পারে বা যেন হেয় করতে না পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্মের সম্মান বজায় রাখা নিজ নিজ ধর্মের যারা তাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব এবং আমি একজন মুসলমান হিসেবে আমার ধর্ম পালন করি। তাই এই ধর্মের প্রতি আমার বিশ্বাস ও আস্থা আছে। অন্যরাও যেন বাংলাদেশে তার ধর্মটা যথাযথভাবে পালন করতে পারে, সেই পরিবেশ বজায় রাখতে চাই।’
কার্ডিনাল মনোনীত হওয়া আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিওকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বে খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিও সিএসসিকে কার্ডিনাল পদে উন্নীত করেছেন। এই প্রথম আমরা এই পদে একজন বাঙালিকে পেলাম; যেটা আমরা আগে কখনো চিন্তাও করতে পারিনি।
সারা বিশ্বে মাত্র ১২১ জন কার্ডিনাল, যাঁরা পোপ হিসেবে প্রার্থী হতে পারবেন, আবার পোপ নির্বাচনের জন্য ভোট দিতে পারবেন। সেই ভোটদানের অধিকারটা আজকে একজন বাঙালি পেয়েছেন। কাজেই আজকে আমরা খুবই আনন্দিত। এ আনন্দটা শুধু খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নয়, সমগ্র বাঙালি জাতির। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে আজকে সবাই আনন্দিত বলে আমি মনে করি।’
অনুষ্ঠানে আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিও, ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ফ্রান্সিস সরোদ গোমেজ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও স্বাগত বক্তৃতা করেন।