• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ধর্মীয় অপব্যাখ্যা’য় জিহাদী বানাতো-জঙ্গি মহিবুল্লাহ


প্রকাশিত: ৬:২১ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২৩ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫০ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার নায়েবে আমির মো. মহিবুল্লাহ ওরফে ভোলার শায়েখকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। সিটিটিসির সিটি ইনভেস্টিগেশন টিম রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আজ বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান।

তাকে গ্রেপ্তারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে দাবি করেছে সিটিটিসি। মূলত সারা দেশ থেকে পাহাড়ি অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের বয়ান দিতেন মহিবুল্লাহ। তার উদ্দেশ্যই ছিল ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিয়ে কর্মীদের মানসিকভাবে জিহাদের জন্য প্রস্তুত করা।

মহিবুল্লাহকে গ্রেপ্তারের সময় দুটি মোবাইল ফোনসেট এবং একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সিটিটিসি প্রধান বলেন, মহিবুল্লাহ ওরফে ভোলার শায়েখকে সংগঠনটির নায়েবে আমির হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তিনি ক্যাম্পে অবস্থানকালে সন্ধ্যার পর প্রশিক্ষণরত সদস্যদের বয়ান দিতেন। তার বয়ানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় অপব্যাখ্যার মাধ্যমে জঙ্গি সদস্যদের জিহাদের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করা।

মো. আসাদুজ্জামান দাবি করেন, এই মহিবুল্লাহ পাহাড়ে কিছুদিন অবস্থান করার পর ঢাকায় চলে আসেন এবং শুরা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে এনক্রিপ্টেড চ্যাটের মাধ্যমে সমন্বয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দাওয়াতের মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রম বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চালাতে থাকেন।

শুরা সদস্য চিকিৎসক শাকের ওরফে শিশিরকে দাওয়াতি কার্যক্রমের বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য মহিবুল্লাহকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সংগঠনের শুরা পর্যায়ের একাধিক সদস্যের সাথে ঢাকা সিলেট ও কিশোরগঞ্জে সংগঠনের কার্যক্রম জোরদার করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সেই একাধিক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি হাটহাজারীসহ বিভিন্ন মাদরাসাতে আসা-যাওয়া করতেন এবং সেখান থেকে পেইনড্রাইভের মাধ্যমে বিভিন্ন জিহাদি ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে তার ল্যাপটপে সংরক্ষণ করতেন।

২০২১ সালে মাইনুল ইসলাম ওরফে রক্সি গ্রেপ্তার হওয়ার পর হুজির আরেকজন সদস্য রাকিবের সঙ্গে মো. মহিবুল্লাহর যোগাযোগ তৈরি হয়। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনার কাজে সদস্য সংগ্রহ ও দাওয়াতি কার্যক্রম চালাতে থাকেন তিনি।ডেমরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় এরই মধ্যে মহিবুল্লাহকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সিটিটিসি।