ধরাশায়ী অস্ট্রেলিয়া-সেমি ফাইনালে বাংলাদেশ
স্পোর্টস রিপোর্টার : ইংল্যান্ডের কাছে ধরাশায়ী হলো অস্ট্রেলিয়া । এর প্রেক্ষিতে সেমি ফাইনালে উঠে গেল বাংলাদেশ। বৃষ্ঠির কারণে বন্ধ থাকা ম্যাচ শেষমেষ ভাগ্য ফিরেছে। যদিও খেলায় জিততে পারত না অস্ট্রেলিয়া। কারণ, বৃষ্ঠির আগে পর্যন্ত ইংলিশদের সংগ্রহ ৪০.২ ওভারে চার উইকেটে ২৪০ রান।
বেন স্টোকস ১০২ ও বাটলার ২৯ রানে ব্যাট করছিলেন। তখন ইংলিশদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৫৮ বলে মাত্র ২৯ রান। হাতে ছিল আরও ছয়টি উইকেট। কাজেই অস্ট্রেলিয়া তাদের হারার পথ তৈরী করেই রেখেছিল।
শেষেমেষ বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৪০ রানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। স্টোকস-মরগান জুটিই বদলে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। এরফলে গ্রুপ ‘এ’ থেকে ইংল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হলো।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ২৭৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ইংলিশরা। দলীয় মাত্র ৩৫ রানেই টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে ইংলিশরা। কিন্তু স্টোকস-মর্গান এ অবস্থায় দলের হাল ধরেন। চতুর্থ উইকেটে তারা ১৫৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে তুলেন। মর্গান ৮৭ রান করে জাম্পার সরাসরি থ্রুতে দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের শিকার হন।
৪০.২ ওভারে চার উইকেটে ২৪০ রান থাকা অবস্থায় বৃষ্টির হানায় খেলায় বন্ধ হয়ে যায়। পরে ইংলিশদের ৪০ রানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। শনিবার এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ২৭৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান করার পর বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির আগে জেসন রয় ৪ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে আউট হন। অন্যদিকে অ্যালেক্স হেলস (০) এবং জো রুট (১৫) আউট হন জশুয়া হ্যাজলউডের বলে।
এরআগে এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আদিল রশিদ এবং মার্ক উডের বোলিং তোপে ২৭৭ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। এদিন শুরুটা ভালো করে ডেভিড ওয়ার্নার এবং অ্যারইন ফিঞ্চ। তবে ৪০ রানের মাথায় ওয়ার্নারকে ব্যক্তিগত ২১ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন মার্ক উড।
এরপর ফিঞ্চ এবং অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ মিলে বাংলাদেশের স্বপ্নকে ম্লান করে দিতে থাকে। ভয়ংকর হয়ে উঠতে থাকেন স্মিথ ও ফিঞ্চ। ৯৬ রানের এই জুটি ভাঙেন বেন স্টোকস। ৬৮ রানে ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মর্গানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ফিঞ্চ।
তবে একপ্রান্তে যেন দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন স্মিথ। ময়েচেজ হেনরিকস মাত্র ১৭ রান করে আদিল রশিদের বলে লিয়াম প্লাঙ্কিটের হাতে ধরা পড়েন। এরপর অধিনায়ক স্মিথও ৫৬ রান করে উডের বলে প্লাঙ্কিটের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। দারুণ খেলছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ত্রাভিস হেড। ৫৮ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে ব্যক্তিগত ২০ রানে উডের বলে সীমানার কাছে জেসন রয়ের হাতে ধরা পড়েন ম্যাক্সওয়েল।
নিশ্চিত ৬ রান বাঁচিয়ে বলটিকে তালুবন্দী করেন রয়। এরপর নিজের নবম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন আদিল রশিদ। ম্যাথু ওয়েডকে ব্যক্তিগত ২ রানে ফিরতি ক্যাচ নেন রশিদ। মিচেল স্টার্ক রানের খাতা খোলার আগেই রুটের হাতে ধরা পড়েন। নিজের কোটার শেষ ওভারে এসে পেট কামিন্সকে ব্যক্তিগত ৪ রানে ফিরতি ক্যাচ নেন রশিদ। পরের ওভারেই জাম্পাকে ফেরান উড। জাম্পা কোনো রান করতে পারেননি।
এক সময় অলআউট হওয়ার শংকায় পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তবে একপ্রান্তে আগলে রেখে দারুণ ব্যাট করেন ত্রাভিস হেড। তার ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া।