• শুক্রবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ কর-মন্ত্রীদের কড়া হুশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর


প্রকাশিত: ৯:৫৩ পিএম, ১৫ জানুয়ারী ২৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৩ বার

একই সাথে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, শূন্যপদ পূরণ, রপ্তানি বহুমুখিকরণ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য ও কৃষিপণ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রয়োজনে তৈরি পোশাকের মত সুবিধা দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

 

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি : দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক এই নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রোজার মাসে পন্যের দাম স্বাভাবিক রাখতেও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। নতুন সরকারে সবমিলিয়ে পঞ্চমবার ও টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে সচিবালয়ের সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে সাধারন মানুষের কষ্ট হচ্ছে। নতুন সরকার তা দ্রুত সমাধানে চেষ্টা করবে।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার নির্দেশ দেন। কৃষি উৎপাদন যেন ব্যহত না হয়, যে প্রকল্প শেষ পর্যায়ে তা দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে তা জনগুরুত্বপূর্ণ কিনা তা সম্ভব্যতা যাচাইয়ের পরামর্শ দিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একই সাথে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, শূন্যপদ পূরণ, রপ্তানি বহুমুখিকরণ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য ও কৃষিপণ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রয়োজনে তৈরি পোশাকের মত সুবিধা দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বাজারে পণ্যের দাম নিয়ে যারা কারসাজি করে তাদের নজরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখন যেটা সবচেয়ে বেশি আলোচিত সেটা হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি। পণ্যের মূল্য বেশি, অথচ কিন্তু খাদ্যপণ্যের অভাব নেই। এ সময় পণ্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, কারসাজি যারা করে তাদের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, সামনে আমাদের রমজান মাস। আমাদের খাদ্যপণ্য আনে সীমিত কয়েকটি গ্রুপ। তারাও এখানে সব সময় একটা খেলা খেলতে চায়। সেই ক্ষেত্রে এখন থেকে আমাদের একটু প্রস্তুতি নিতে হবে। রমজান মাসে যে পণ্যগুলো আমাদের বেশি লাগে সেগুলোর মূল্য যেন ঠিক থাকে এবং সেগুলো যেন বাজারে পাওয়া যায়; সরবরাহ যেন ঠিক থাকে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

পণ্যের দাম কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার, খাদ্য পণ্যের যখন দাম বাড়ে তখন কৃষক খুশি হয়। কিন্তু যারা ভোক্তা তারা দুঃখ পায়। তাদের ওপরে চাপ এসে পড়ে।

এটাকে ভারসাম্যপূর্ণ করতে হবে, এটাকে কীভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায় এ বিষয়ে আমাদের খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের প্রবৃদ্ধি যেটা হবে মূল্যস্ফীতি তার চাইতে কম থাকতে হবে। তাহলেই তার সুফলটা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ পাবে।

তিনি আরো বলেন, মুদ্রাস্ফীতি আমরা কমিয়েছি, খাদ্য দ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ১২ শতাংশ উঠে গিয়েছিল, সেটাকে কমিয়ে নয় ৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। অন্য সব মিলিয়ে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। কিন্তু এটাকে আমাদের আরও কমাতে হবে।

নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে পাঁচ বারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর ১১ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন মন্ত্রিসভায়।