দৈনিক ১০০০ নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

বিশেষ প্রতিনিধি : দেশে আরও দুজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৬ জনে। মৃত্যুর সংখ্যা আগের ৬ জনই রয়ে গেছে। করোনা সন্দেহে আইসোলেশনে রয়েছে ৭৮ জন। আক্রান্ত দুজনই পুরুষ এবং তারা কিভাবে সংক্রমিত হয়েছেন তা জানা যায়নি। প্রতি উপজেলা থেকে দুজনসহ দৈনিক এক হাজার নমুনা পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমআইএস) ডাঃ হাবিবুর রহমান। এই সময় উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শহিদুল্লাহ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেক উপজেলা থেকে অন্তত দুটিসহ এক হাজার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে ডাঃ হাবিবুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার একটা নির্দেশনা পেয়েছি আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে। ইতোমধ্যে আমাদের মহাপরিচালক, ঢাকাসহ প্রত্যেক বিভাগের পরিচালকবৃন্দ, সব সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন আজকের মধ্যে প্রত্যেকটি উপজেলা থেকে কমপক্ষে দুটি করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আমরা যেন অন্তত এক হাজার নমুনা সংগ্রহ করতে পারি এবং আগামীকাল (শুক্রবার) সেগুলো পরীক্ষা করতে পারি।

ডাঃ হাবিবুর রহমান আরও জানান, রাজধানীসহ সারাদেশে পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ঢাকায় ছয়টি এবং ঢাকার বাইরে চারটি প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যেই নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে নমুনা পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পিসিআর মেশিন স্থাপনের কাজ চলছে। শীঘ্রই এগুলোতে কাজ শুরু হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের সন্দেহভাজন রোগীদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিকটস্থ ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর অনুরোধ জানান।

ডাঃ হাবিবুর রহমান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। তারা দুই জনই পুরুষ। তাদের একজনের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। অন্যজনের বয়স ৭০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। তবে কীভাবে তারা আক্রান্ত হয়েছেন, তা এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।

ডাঃ হাবিবুর রহমান আরও জানান, এখন পর্যন্ত ৬২ হাজার ১২৭ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪০৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন এবং ৯ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এই পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৭০৪ জনকে কোয়ারেন্টাইন মুক্ত করায় বর্তমানে ১৬ হাজার ৭০০ জন কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে মোট আইসোলেশনে আছেন ৭৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০১ জন দেশে প্রবেশ করেছেন। তাদের সবাইকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ২৬৫টি পিপিই বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৭ হাজার ৪৬৫টি ফোন কল এসেছে স্বাস্থ্য বাতায়নে এবং এখন পর্যন্ত এখানে মোট ফোন কলের সংখ্যা ১০ লাখ ৪২ হাজার ৯৬২টি।