• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

`দেশ ও জনগণকে আগুন দিয়ে পোড়ানোর অধিকার কারও নেই’


প্রকাশিত: ৮:০৫ পিএম, ১৮ মার্চ ১৫ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৫ বার

Enuস্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা:
সরকারের সমালোচনা করার অধিকার রয়েছে, কিন্তু দেশ ও জনগণকে আগুন দিয়ে পোড়ানোর অধিকার কারও নেই। শেখ হাসিনার সরকার ধৈর্য ধরে সমালোচনা শুনবে কিন্তু আগুন-সন্ত্রাসীদের কোন ছাড় দেবে না।

আজ বুধবার কেবল অপারেটরস ন্যাশনাল কনভেনশনে এমন মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রে অপরাধীদের ছাড় নেই, যুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধীদের ছাড় নেই। আজকের আগুন-সন্ত্রাসী ও তাদের নেত্রীকে একচুল ছাড় দেব না। মানুষ পুড়িয়ে, জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতা ছিনতাই করতে দেব না।’

রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে দেশের কেবল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের সংগঠন কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) আয়োজিত এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তিন হাজারেরও বেশি কেবল অপারেটর অংশগ্রহণ করেন। কোয়াব এর আহ্বায়ক মীর হোসেন আখতারের সভাপতিত্বে সংগঠনের নেতারা দশ দফা দাবি তুলে ধরেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, শেখ হাসিনার সরকার অবাধ তথ্যপ্রবাহ বজায় রাখতে বেসরকারি খাতে এফএম ও কমিউনিটি রেডিও এবং স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালু করেছে এবং কেবল অপারেটরদের নেটওয়ার্ক এই তথ্যপ্রবাহে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
মহাজোট সরকারকে ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব সরকার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কেবল অপারেটরদের দাবিগুলো গভীরভাবে বিবেচনা করে দ্রুত সমাধান দিতে তিনি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবেন।

কেবল অপারেটরদের দশ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে: কেবল নীতিমালার সংশোধন ও বর্ধিত লাইসেন্স ফি কমানো, ডিটিএইচ (ডিরেক্ট টু হোম) ও কেবল টিভির জন্য পরিচ্ছন্ন নীতি, ইউনিয়ন, থানা, জেলা ও শহরভিত্তিক আইন প্রণয়ন, কেবল টিভিকে শিল্প ঘোষণা, ব্যাংকঋণ ও শুল্কমুক্ত যন্ত্রাংশ আমদানি,কেবল টিভিকে চ্যানেল হিসেবে অনুমতি দেওয়া, একই এলাকায় একাধিক লাইসেন্স না দেওয়া, পে-চ্যানেলের ক্রয়-বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ, ক্যারেজ ফি প্রদান নীতি প্রণয়ন, কেবল টিভি ব্যবসাকে সন্ত্রাসমুক্ত করা এবং কোয়াবের নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
তথ্যমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘কেবল টিভি ব্যবসায় কোনো সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না, সে যে দলের নামেই হোক।’

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আনিসুল হক, বর্তমান সহ–সভাপতি হেলাল উদ্দিন, কোয়াব নেতাদের মধ্যে শামসুর রহমান শিমুল, মোশারফ আলী চঞ্চল, তালাত ইকবাল, সৈয়দ হাবীব আলী, নাদের চৌধুরীসহ বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।