• সোমবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৪

দেশে চাল সংকটের তথ্য স্বীকার করলেন খাদ্যমন্ত্রী


প্রকাশিত: ১২:৫৮ এএম, ১৭ জুন ১৭ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৬ বার

ডেস্ক রিপোর্টার :  অবশেষে দেশে চাল সংকটের তথ্য স্বীকার করলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।বিবিসি বাংলাকে food minister-kamrul-www.jatirkhantha.com.bdদেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এবারে বোরো মওসুমে এক কোটি ৯১ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল কিন্তু কয়েকটি কারণে উৎপাদন কম হয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম আরো বলেন, যে চলতি বছরের বোরো মওসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টন ধান কম উৎপাদন হয়েছে, ফলে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে চালের বাজারে সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে।

তবে খাদ্যমন্ত্রী চাল সংকটের কারণে মূলত তিনটি কারণের কথা উল্লেখ করেন-হাওরে ফসল হানি, কয়েক জেলায় ধানক্ষেতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ এবং অতিবৃষ্টি। আমার মনে হচ্ছে এসব কারণে উৎপাদন ১৫-২০ লক্ষ টন কম হবে- কমপক্ষে। এটা বেশীও হতে পারে, বলেন মি. ইসলাম।
rice-www.jatirkhantha.com.bd
এদিকে সারাদেশে এরই মধ্যে চালের দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে।
যে মোটা চাল কিছুদিন আগেও কেজি প্রতি ৩৫ টাকার মতো ছিল, তার দাম এখন কমবেশী ৪৮ টাকা। ফলে নিম্নআয়ের মানুষ বেশী সংকটে পড়েছেন, আর চালের দাম নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।খাদ্যমন্ত্রী অবশ্য এই পরিস্থিতির জন্যে মূলত দায়ী করছেন চালের ব্যবসায়ীদের।

তিনি বলেন, ধানের উৎপাদন কম হওয়ার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আর কিছু অসাধু মিল মালিক যোগসাজশ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে হঠাৎ করে চালের দাম বৃদ্ধি করেছে। মন্ত্রী কামরুল ইসলাম চাল নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টিতে গণমাধ্যমকেও দুষেছেন। এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য হলো, “সঠিক সংবাদ পরিবেশন করা ভালো, তবে অতিরঞ্জন অনেক সময় আতঙ্ক সৃষ্টি করে, যা শুভ নয়”।

খাদ্যমন্ত্রী জানান, সরকারের পক্ষ থেকে চালকলের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং দাম কমাতে তাদের চাপও দেয়া হয়েছে। তবে সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে মূলত নির্ভর করছে আমদানির ওপর। মি. ইসলাম বলেন, তাঁর সাম্প্রতিক ভিয়েতনাম সফরের সময় তিনি সেখান থেকে চার লক্ষ টন চাল আমদানির বিষয় চূড়ান্ত করেছেন।

এছাড়া, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকেও চাল আমদানীর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার চাইছে সব মিলিয়ে ১০ লক্ষ টন চাল আমদানি করতে। বাংলাদেশের মানুষের মূল খাদ্য ভাত, আর তাই চালের দাম দেশটিতে সব সময় একটি রাজনৈতিক স্পর্শকাতর বিষয়। তবে চালের দাম সরকারের জন্যে ‘রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ হবেনা বলেই বিশ্বাস করেন মন্ত্রী।

সংকট আছে আমি স্বীকার করি। তবে আমরা যদি আমদানি করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে না পারতাম তাহলে সংকটটা সৃষ্টি হতো তিন-চার মাস পরে। এখন যে সংকট সেটা কৃত্রিম সংকট, মনে করছেন কামরুল ইসলাম।