• বুধবার , ২০ নভেম্বর ২০২৪

দেশে ক্রোড়পতি লাখের ওপরে-অর্থমন্ত্রী


প্রকাশিত: ৯:১৪ পিএম, ২৫ জানুয়ারী ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭২ বার

সংসম রিপোর্টার : দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি টাকাAbul-Mal-Abdul-Muhit-www.jatirkhantha.com.vbdর হিসাবধারী ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫ জন। আজ সোমবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এই তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ ছাড়া প্রশ্নোত্তর পর্বে ব্যাংকের লাভ-লোকসান, রাজস্ব আদায়, বৈদেশিক সহায়তা, বৈধ সিম, মোবাইল কোম্পানির বিনিয়োগ বিভিন্ন প্রসঙ্গ এসেছে।

প্রশ্নোত্তরের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল সাড়ে চারটার পর সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।সরকারি দলের সদস্য সোহরাব উদ্দিনের এ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাব দিয়ে বলেন, গত ৫ বছরে কোটি টাকার হিসাবধারী বেড়েছে ৩৬ হাজার ১১৫ জন। ২০১১ সালে কোটি টাকার হিসাবধারী ছিল ৭৮ হাজার ১৫০ জন, ২০১২ সালে ৯০ হাজার ৬৫৫ জন, ২০১৩ সালে ৯৮ হাজার ৫৯১ জন এবং ২০১৪ সালে ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৯৭৪ জন।

দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত বছর দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৩৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে বেসিক ব্যাংক। এ ছাড়া কৃষি ব্যাংক ১৫৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ২৫ কোটি ৬২ লাখ ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ৪৬ দশমিক ৮৫ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে।

অপরদিকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৮০৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা লাভ করেছে ইসলামী ব্যাংক। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ১৫২ কোটি ৬ লাখ টাকা লাভ করেছে জনতা ব্যাংক।

জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাসে আমদানি পর্যায়ে ২২ হাজার ১৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২০ হাজার ৮৩২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার ২ হাজার ৯৯৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।

ওয়ার্কার্স পার্টির হাজেরা খাতুনের প্রশ্নে জবাবে অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, বর্তমানে ব্যক্তি পর্যায়ে করদাতার সংখ্যা ১৭ লাখ ৫১ হাজার ৫০৩ জন। ব্যক্তি পর্যায়ে চলতি বছরের জুন নাগাদ ৩ লাখের মতো নতুন করদাতা শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে আবদুল মুহিত বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী গত বছরের তুলনায় এবার বৈদেশিক সহায়তা ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫০১.৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৫৯২.৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬টি মোবাইল ফোন কোম্পানির ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার ৪১০টি সিম বৈধভাবে চালু রয়েছে।

এর মধ্যে গ্রামীণফোনের ৫ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার ৪১২টি, রবি’র ২ কোটি ৮৩ লাখ ১৬ হাজার ৯৫৮টি, বাংলালিংকের ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৫ হাজার ১১৬টি, এয়ারটেলের ১ কোটি ৭ লাখ ৯ হাজার ৬৮৪, প্যাসিফিক টেলিকমের (সিটিসেল) ১০ লাখ ৬ হাজার ৬৮৪টি এবং টেলিটকের ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৫৮০টি সিম রয়েছে।

ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, গ্রামীণফোনের ১ হাজার ৮৮১ কোটি ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৫ টাকা, বাংলালিংকের ১ হাজার ৩৮৪ কোটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা, রবি’র ১ হাজার ৮২৫ কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার ৯১ টাকা এবং এয়ারটেলের ৩৭৭ কোটি ২৪ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৯ টাকার বিনিয়োগ রয়েছে।