স্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা: নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, দেশের প্রতিটি ঘাটের ইজারা বন্ধ করে সরকারি টোল আদায় করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি)। আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
গতকাল শুক্রবার রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রাম বাজারে ভাই হাফিজুর রহমান খানের মালিকানাধীন তেলের পাম্প উদ্বোধন করে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
নৌমন্ত্রী বলেন, ইজারাদাররা হলেন মধ্যস্বত্বভোগী। তাঁরা সরকারকে কম টাকা দিয়ে ঘাটের ইজারা নিয়ে চালক ও যাত্রীদের হয়রানি করেন। এভাবে তাঁরা নিজেদের আখের গোছান।
সরকার তাই দেশের সব ঘাটে ইজারাদারদের দাপট কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। এ কারণে ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে প্রতিটি ঘাটের সরকারি টোল আদায় করবে বিআইডব্লিউটিসি। এতে ঘাটগুলো থেকে মধ্যস্বত্বভোগী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের সরানো যাবে।
মন্ত্রী কাওড়াকান্দি ঘাটের চাঁদাবাজি ও যাত্রী হয়রানির তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে তিন টাকার জায়গায় ১০ টাকা করে নেওয়া হয়। আগামী ১ জুলাই থেকে চালক ও যাত্রীদের নির্ধারিত টোলের চেয়ে বেশি টাকা দিতে হবে না।
সার্বিক ফিলিং স্টেশন নামের ওই তেলের পাম্পটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক সাংসদ কাজী জাফরউল্লাহ। সেখানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রহিম বকস বলেন, কাওড়াকান্দি ঘাট চাঁদাবাজির আখড়া হয়ে উঠেছে।
ঘাটের ইজারাদারদের স্বেচ্ছাচারিতা ও মাস্তানির কারণে বাস, ট্রাকের চালক ও যাত্রীদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। রহিম বকস যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ইঙ্গিত করে বলেন, দেশে শত শত অবৈধ গাড়ি চলছে। কিন্তু শুধু বৈধ গাড়িগুলোর ওপর স্টিম রোলার চালাচ্ছেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, পদ্মা সেতু হলে ভাঙ্গা-মাওয়া সড়ক দিয়ে এখনকার চেয়ে ৩৩৭ গুণ বেশি গাড়ি চলবে। কাওড়াকান্দি ঘাটের অনেক বদনাম। প্রতিনিয়ত মানুষ সেখানে মাস্তান ও চাঁদাবাজদের হাতে হয়রানির শিকার হচ্ছে ।
কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, অল্প কিছু লোক খারাপ কাজ করে আর তার দায়ভার সরকারকে বহন করতে হয়। তাই পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে সব মাস্তানি, চাঁদাবাজি বন্ধ করা প্রয়োজন। মন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শাজাহান খান সাহেব চাঁদাবাজি বন্ধ করুন, কারও হুমকি বরদাস্ত করবেন না।’
মন্ত্রীর ভাইয়ের ওই ফিলিং স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মাদারীপুরের পুলিশ সুপার খন্দকার ফরিদুল ইসলাম, ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, যমুনা অয়েল কোম্পানির খুলনা অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।