• শুক্রবার , ৩ মে ২০২৪

দেশী বিদেশী অর্থনৈতিক সহযোগীতায় সম্ভাবনাময় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ


প্রকাশিত: ২:৪০ এএম, ১০ অক্টোবর ১৫ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৪ বার

output_iKbr7s---------------------হাসানুর রহমান:   বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরে সম্ভাবনাময় একটি নাম ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে একমাত্র তালিকাভুক্ত এই বিমান সংস্থাটি দেখতে দেখতে ২০১৬ সালে এক যুগে পদার্পন করতে যাচ্ছে। ‘Fly your own Airline’ শ্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ফ্লাইট সিডিউল, সেবা ও নিরাপত্তার জন্য নিজ  ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে ইতিমধ্যে।

দেশের এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ আরো শক্তিশালী হতে পারে দেশী বিদেশী অর্থনৈতিক সহযোগীতার মাধ্যমে। এতে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ যেমন শক্তিশালী হবে তেমনি এদেশের বিপুল জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থানও সৃষ্ঠি হবে। এজন্য ইউনাইটেডের বিমান বহরে অধিক সংখ্যক আধুনিক বিমান যুক্ত করতে হবে। যুক্ত করতে হবে আধুনিক বোয়িং-৭৭৭’ও।

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠালগ্নে দুটি এয়ারক্রাফ্ট দিয়ে  যাত্রা শুরু করেছিল। সেই বিমান সংস্থাটি আর্থিক সংস্থা সমূহের সহায়তা পেয়ে এখন বিশ্বের দরবারে নিজেদের ব্রান্ড হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করে নিচ্ছে।

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকেও তাঁর চলার পথ মসৃণ করতে একই ধরনের আর্থিক সহায়তা দেয়া জরুরী। কারণ, একটি উড়োজাহাজকে নির্দিষ্ঠ সময় নির্দিষ্ঠ গন্তব্যে পৌছাতে হবে। কাজেই এভিয়েশন ব্যবসায় এগিয়ে নিতে দেশী বিদেশী আর্থিক সংস্থা সমূহের সাহায্য একান্তই অপরিহার্য।আর সেটাই প্রত্যাশা করে এদেশীয় বিমান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ।

ইউনাইটেডের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ মনে করে, আমরা যেকোন ধরনের প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে প্রস্তুত। আমাদের বিমান বহরে অধিক সংখ্যক আধুনিক বিমান যুক্ত করে চলেছি। বহরে অধিক সংখ্যক বিমান ও অধিক গন্তব্য সম্প্রসারনের লক্ষে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কাজ করছে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে সম্পৃক্ত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ তাই সকলের সহযোগীতা কামনা করছে।

জানা গেছে, বর্তমানে এক লক্ষ ছত্রিশ হাজার শেয়ার হোল্ডার রয়েছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের।বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরে এটি সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ইতোমধ্যে এই এভিয়েশনে ১০০০ জনের বেশী মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ গত নয় বছরে অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রুটে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ।বর্তমানে ঢাকা থেকে আন্তর্জাতিক রুট জেদ্দা, দুবাই, মাস্কাট, দোহা, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, কাঠমুন্ডু, কলকাতা এবং চট্টগ্রাম থেকে কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়া ঢাকা থেকে আন্তর্জাতিক রুট ছাড়াও অভ্যন্তরীন সকল রুটে যেমন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, রাজশাহী, সৈয়দপুর, ঈশ্বরদী ও বরিশালে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

উল্লেখ্য যে, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ খুব শিগগির এটিআর-৭২ এয়ারক্রাফটের পাশাপাশি প্রতিদিন দু’বার ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ১৭০ আসনের জেট ইঞ্জিন বিশিষ্ট এয়ারক্রাফট এমডি-৮৩ পরিচালনা করতে যাচ্ছে।

২০০৭ সালের ১০ জুলাই ৩৭ আসন বিশিষ্ট ড্যাশ ৮-১০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে যাত্রা শুরু করা ইউনাইটেডের বিমান বহরে বর্তমানে রয়েছে একটি ড্যাশ-৮-১০০, তিনটি এটিআর-৭২, পাঁচটি এমডি-৮৩ এবং দু’টি এয়ারবাস-৩১০ সহ মোট এগারোটি এযারক্রাফট। শীঘ্রই একটি বোয়িং-৭৭৭ এবং আরও দুটি এটিআর-৭২-৫০০ যোগ দেবে এবং বোয়িং-৭৭৭ দিয়ে চালু হবে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমিক ঘন  রুটসমূহ। এছাড়াও স্থগিত রুটগুলিও পুনরায় চালু করতে যাচ্ছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ।

গত ৯ বছরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ যাত্রী সেবা কার্গো পরিবহনে অভাবনীয় সফলতার জন্যে একাধিক পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছে।