দেশকে এগিয়ে নিতে রাবেয়া খাতুনদের আদর্শ অনুসরণ করতে হবে-দোলা হাসান
বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ মহিলা যুব লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিশিস্ট সদস্য, উদ্যোক্তা ও ক্রীড়ানুরাগী দোলা হাসান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে গুণীজনদের আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। কারণ, গুণীজনরাই সমাজের সম্পদ। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরের মা প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের বনানীর বাসভবনে বুধবার আয়োজিত ৮৩ তম জন্মদিনের অনুষ্টানে তিনি এসব কথা বলেন।
মিতালী মুখার্জী সন্ধ্যায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট প্রকাশক সিওর সাকসেস গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মেহেদী হাসান, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরের স্ত্রী কনা রেজা, শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, স্বর্ণকিশোরী ফাইন্ডেশনের সিইও ফারজানা ব্রাউনিয়া, প্রখ্যাত রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, প্রকৃতিপ্রেমী এবং ইমপ্রেস গ্রুপের অন্যতম পরিচালক মুকিত মজুমদার বাবু, সাংবাদিক আর এইচ মানব প্রমুখ।
অনুষ্টানে নারী নেত্রী দোলা হাসান আরো বলেন, যুগে যুগে গুণীজনরা সমাজকে অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। তাদের আদর্শ লালন করলে ভবিষ্যতে রাবেয়া খাতুনদের মতো আরো গুণীজন জন্মাবে। তখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার মানুষদের নিয়ে শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলা সহজ হবে। উল্লেখ্য, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক ও কথা সাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের ৮৩তম জন্মদিন ছিল ২৭ ডিসেম্বর।
এদিন নানা আয়োজনে উদযাপিত হয় বাংলা সাহিত্যের এই দুই গুণী মানুষের জন্মদিন।সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় মেধার স্বাক্ষর রেখে গেছেন সৈয়দ শামসুল হক। ১৯৩৫ সালের এই দিনে কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।বাংলা সাহিত্যে ছয় দশক ধরে গল্প, উপন্যাস, কবিতা, গান, নাটক, চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যসহ সব ক্ষেত্রে বিচরণ করেছেন বহুমাত্রিক এই লেখক।২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর গুণী এ লেখক মৃত্যুবরণ করেন। একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননায় সম্মানিত সৈয়দ হক।
ওদিকে বাংলা সাহিত্যে’র আরেক উজ্জ্বল নক্ষত্র রাবেয়া খাতুন ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন একসময় শিক্ষকতা করেছেন, সাংবাদিকতার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন অনেকদিন। উপন্যাস, ছোটগল্প, ভ্রমণ কাহিনী, কিশোর উপন্যাস, স্মৃতিকথাসহ চলচ্চিত্র ও নাট্য জগতেও বিচরণ ছিল তার। তার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘মেঘের পরে মেঘ’ জনপ্রিয় একটি চলচ্চিত্র। এছাড়া ‘মধুমতি’, ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ প্রশংসিত সব মহলে।
একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার, হুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত রাবেয়া খাতুন। তার স্বামী প্রয়াত ফজলুল হক ছিলেন দেশের চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রথম পত্রিকা সিনেমার সম্পাদক ও চিত্রপরিচালক। বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’ এর পরিচালক ছিলেন তিনি।