দেবীগঞ্জে দুর্বৃত্ত্বের বর্বরতা অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায় নিহত
পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় যজ্ঞেশ্বর দাসাধীকারী (৫০) নামে এক হিন্দু পুরোহিতকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ও ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও দুইজন।রবিবার সকাল ৭টায় উপজেলার করতোয়া ব্রিজ সংলগ্ন শ্রী শ্রী সন্তু গৌরীয় মঠে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৭টার দিকে একটি মোটরসাইকেল যোগে আসা তিন দুর্বৃত্ত গৌরীয় মঠে ঢুকে মঠের প্রধান পুরোহিত ও অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর দাসাধিকারীর ওপর হামলা চালায়। এসময় তাকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে।
মন্দিরের পুজারী গোপালের (৩৫) হাতে পায়ে গুলি করে আহত করে। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ককটেলের আঘাতে আহত অপর পূজারী নিতাইপদ দাসকে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দীন আহমদ, দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আখতার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান- সকালের দিকে মোটরসাইকেলে করে আসা তিন দুর্বৃত্ত গৌড়ীয় মঠ সংলগ্ন বাড়িতে ঢুকে মঠের প্রধান পুরোহিত ও অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায়ের (৫৫) ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে তাকে।
স্থানীয় লোকজন ওই সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করলে মোটরসাইকেলে করে পালানোর সময় প্রথমে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, এরপর গুলিও চালায়। এসময় পূজারি গোপাল চন্দ্র রায় (৩৫) গুলিবিদ্ধ হন। তার ডান হাতে গুলি লেগেছে। বোমায় আহত হন নিতাই চন্দ্র রায়। আহত পূজারি গোপাল চন্দ্র রায়কে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘জেলার সকল হিন্দু ধর্মশালায় নিরাপত্তা জোরদার ছিল। কারা হত্যাকারী এবং কী কারণে এমন হলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ ঘটনার পর স্থানীয় সাংসদ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় লোকজন ওই সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করলে মোটরসাইকেলে করে পালানোর সময় প্রথমে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, এরপর গুলিও চালায়। এসময় পূজারি গোপাল চন্দ্র রায় (৩৫) গুলিবিদ্ধ হন। তার ডান হাতে গুলি লেগেছে। বোমায় আহত হন নিতাই চন্দ্র রায়। আহত পূজারি গোপাল চন্দ্র রায়কে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘জেলার সকল হিন্দু ধর্মশালায় নিরাপত্তা জোরদার ছিল। কারা হত্যাকারী এবং কী কারণে এমন হলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ ঘটনার পর স্থানীয় সাংসদ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।