`দুর্নীতির কারণে সরকারি খরচ অনেক বেড়ে গেছে’
জেলা প্রতিনিধি .কুমিল্লা : বাংলাদেশে দুর্নীতিকে কার্যকরভাবে প্রতিহত করা গেলে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অতি সহজে ডাবল (দ্বিগুণ) ডিজিট হতে পারতো বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লায় আয়োজিত ‘বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন: স্থানীয় পর্যায়ে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন।ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘দুর্নীতির কারণে সরকারি খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
এ কারণে যে ক্ষতি হয়, তা জনগণের ওপর এসে পড়ে। বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অতি সহজে ডাবল ডিজিট হতে পারতো যদি দুর্নীতিকে আমরা কার্যকরভাবে প্রতিহত করতে পারতাম। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সততা ও জবাবদিহিকে নান্দনিকতা করতে চাই।ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, মানুষের কল্যাণের জন্য যাঁরা রাজনীতি করছেন, তাঁরা ক্রমাগতভাবে কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছেন।
স্বাধীনতার পর জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী ছিলেন সাড়ে ১৭ শতাংশ, নবম ও দশম জাতীয় সংসদে ওই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯ শতাংশে। তিনি বলেন, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সঙ্গে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের সুরক্ষা দেওয়া ছাড়া রাষ্ট্রের উপায় নেই। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূল থেকে আন্দোলন জাগ্রত করতে হবে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা না থাকার কারণে দেশে দুর্নীতি হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধকে দলীয়করণের চেতনা হিসেবে অনেকে দেখতে চায়। সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লা ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে ওই মতবিনিময় সভা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সভাপতি আলী আকবর মাসুম।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আমীর আলী চৌধুরী, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আজিজুর রহমান, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মো. আলী আশরাফ ভূঞা,
জেলা সিভিল সার্জন মো. মুজিবুর রহমান, কুমিল্লা জেলা সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, জেলা বিএমএর সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন দীপু, এনজিও ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক লোকমান হাকিম, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী এনামুল হক প্রমুখ। সভায় কুমিল্লার বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।