• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

দুর্নীতিবাজরা আউট- জানুয়ারীতে নয়া জেলা পরিষদ প্রশাসক


প্রকাশিত: ১১:৩৩ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ১৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৬ বার

govment logoপ্রিয়া রহমান.ঢাকা:
নতুন বছরের শুরুতেই জেলা পরিষদ প্রশাসক পদে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। এই পদে নিয়োগ পেতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা দোঁড়ঝাপ শুরু করেছেন। উপজেলা পরিষদের মতো জেলা পরিষদ প্রশাসক পদে সরাসরি ভোটে নির্বাচনের বিধান থাকলেও অতীতে তা হয়নি। দুই দফায় রাজনৈতিক বিবেচনায়ই জেলা পরিষদ প্রশাসক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লা বলেন, মন্ত্রী ও দলীয় এমপিদের মতো জেলা পরিষদ প্রশাসকদের আমলনামা প্রধানমন্ত্রীর হাতে রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তারা বাদ পড়বেন। এব্যাপারে শেখ হাসিনা কাউকেই ছাড় দেবেন না।al
এইচ এম এরশাদ সরকারের শাসনামলের শেষ দিকে রাজনৈতিক বিবেচনায় জেলা পরিষদ প্রশাসক পদে দলীয় নেতাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। প্রশাসকদের প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলেন এরশাদ। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠন হওয়ার পর ৬৪টি জেলায় দলীয় নেতাদের জেলা পরিষদ প্রশাসক পদে নিয়োগ দেয়া হয়।

নবম সংসদ নির্বাচনে যে সব নেতারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি কিংবা মহাজোট শরিকদের আসন ছেড়ে দেওয়ার কারণে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও যে সব নেতাদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে আনা হয়েছিল তাদেরকেই জেলা পরিষদ প্রশাসক পদে নিয়োগ দেন শেখ হাসিনা। ৬৪ টি জেলার মধ্যে কেবল রংপুর জেলায় জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হয়। বাকি জেলাগুলোতে নিয়োগ পান আওয়ামী লীগ নেতারা।

নির্বাচন ছাড়া নিয়োগ পাওয়া জেলা পরিষদ প্রশাসকদের মেয়াদ চলতি বছরের ডিসেম্বরেই ৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। ফলে জানুয়ারিতেই এই পদে নতুন করে নিয়োগ দেবে সরকার। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কিছু দিন বলেছেন, জেলা পরিশদ প্রশাসক পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী নয় সরকার।

এই নির্বাচন সম্পন্ন করা যেমন বিপুল অর্থের প্রয়োজন, তেমনি ব্যাপক ঝামেলাও বটে, তাই সরকার জেলা পরিষদ নির্বাচন করতে আগ্রহী নয় বলে মন্তব্য করেছেন সৈয়দ আশরাফ। তার এই বক্তব্যের পরে ষ্পষ্ট হয়ে গেছে যে, জেলা পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে না। আগের মতো রাজনৈতিক বিবেচনায়ই এই পদে নিয়োগ দেয়া হবে। যেহেতু নির্বাচন হচ্ছে না একই সঙ্গে বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসকদেরও মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে তাই আওয়ামী লীগ নেতারা পদ পেতে তদবিরে নেমে পড়েছেন।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ৬৪ টি জেলায় প্রশাসক পদে বেশিরভাগই নতুন মূখ দেখা যেতে পারে। ১০ সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের কারণে প্রভাবশালী যে সব নেতা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি তাদেরকে স্বান্তনা পুরস্কার হিসেবে জেলা পরিষদ প্রশাসক করার সম্ভবনাই বেশি।