দুদক কিনেছে মাফিয়া ডন শাহজাহান
শফিক রহমান : জিরো থেকে হিরো বনে যাওয়া সিএন্ডএফ মাফিয়া ডন শাহজাহান এখনও বহাল তবিয়তে। অবৈধ উপায়ে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে শাহজাহান। ফেসিস্ট হাসিনা সরকারের লুটেরা প্রভাবশালীদের পারপাস সার্ভ করে দিয়ে নিজেও আঙ্গুল ফুলে বটগাছে পরিণত হয়েছে সে। তার কর্মস্থল এয়ারপোর্ট কাস্টমসের সিএন্ডএফ এজেন্ট। এই এজেন্ট হয়েই সে এখন শত কোটিপতি।
গাড়ি হাকান বিএমডাব্লিউ, প্রাডোসহ একাধিক গাড়ি। রয়েছে বডিগার্ড, সন্ত্রাসী বাহিনী এবং আরো কিছু। রয়েছে পিস্তল, বারো বোরের শর্টগান। শাহজাহান তার বাহিনী দিয়ে এয়ারপোর্ট কাস্টমস এ অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে বেড়ান। কাস্টমস কর্তকর্তা ও কর্মচারীদের জিম্মী করে কাজ সিদ্ধি করেন। সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে কাস্টমস এর নামে মিথ্যা মামলাও দেন। এর সঙ্গে কাস্টমস এর বেশ কিছু অসাধু কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে।
তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স সিনথিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। এই সাইনবোর্ডের আড়ালে সে মাফিয়া ব্যবসা চালায়। বেনামে তার রয়েছে অর্ধ শত লাইসেন্স। যে সব লাইসেন্স দিয়ে সে মাফিয়া ব্যবসা করে ফুঁলেফেঁপে উঠেছে । ঢাকা কাস্টমস হাউজ এয়ারফ্রেইট ইউনিট এর ১ নম্বর গেট দিয়ে সে স্টিকার জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্য পাচার করে দেয়। সে মিথ্যা ঘোষনার আড়ালে অবৈধ মেডিসিন, মোবাইল ফোন,এসকেডি, সিসা ফ্লেভার, আমদানি নিষিদ্ধ পুরাতন ল্যাপটপ, পুরান পণ্য, ক্যাসিনো সামগ্রী, সেক্সটয়, নিষিদ্ধ সেক্সের ওষুধ, জঙ্গি কর্মকান্ডে ব্যবহৃত আধুনিক ড্রোণ,বিস্ফোরক দ্রব্য স্বর্ণ, মাদকসহ নিষিদ্ধ নানা আমদানি পন্য করে ও তা ছাড় করিয়ে শত কোটি টাকা বানিয়েছে।
সে ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশন(ডিসিসিএ) এর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি। এই পদ ব্যবহার করেই সে টাকা বানিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ টাকায় ইতিমধ্যে বানিয়েছে বেশ কয়েকটি অট্রালিকা। উত্তরা নিকুঞ্জ আশকোনায় রয়েছে তার শত কোটি টাকার সম্পত্তি। এসব নিয়ে লিখিত অভিযোগ দুদকে দেয়া হলে ধূর্ত শাহজাহান দুদক এর দুই কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ফাইল গায়েব করে ফেলেছে।
শাহজাহানের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল দুদকে অভিযোগ গ্রহণ করেছিলেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল সহকারি পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম কে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তদন্ত আগায়নি। যার স্মারক নম্বর-৪১৩৯-৪। এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান আরো চলমান রয়েছে।