দুদকের জালে অগ্রণী ব্যাংকের তিন জালিয়াত-জাল কাগজে মিজানের ২৭০ কোটি টাকা লুটপাট
এস রহমান : দুদকের জালে অগ্রণী ব্যাংকের তিন জালিয়াত এখন বিচারের কাঠগড়ায়। এরা জাল
কাগজে জালিয়াত মিজানকে ২৭০ কোটি টাকা লুটপাটে সহায়তা করেছে।অভিযোগের সংশ্লিষ্ঠতা পেয়ে অগ্রণী ব্যাংক লিমিডেটের সাবেক দুই পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরমধ্যে মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ২৭০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা বেনজির আহম্মদ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জাতিরকন্ঠকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন- অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক রনজিৎ কুমার চক্রবর্তী, একেএম মঞ্জুরুল হক লাভলু। তবে আজ শাহজাদা মহিউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা থাকলেও তিনি দেশের বাইরে থাকায় আসতে পারেননি। পরবর্তীতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের মালিকানাধীন তিনটি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মুন ইন্টারন্যাশনাল প্রেন্টিং প্রেস, মেসার্স মুন বাংলাদেশ লিমিটেড ও মেসার্স এম এর ট্রেডিংয়ের নামে ভুয়া জামানত বন্ধক রেখে ২৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেন।
এর মধ্যে মেসার্স মুন ইন্টারন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেসের অনুকূলে ৪৯ কোটি টাকা, মেসার্স মুন বাংলাদেশ লিমিটেডের অনুকূলে ১৪১ কোটি টাকা ও মেসার্স এম এর ট্রেডিংয়ের অনুকূলে ৮০ কোটি টাকাসহ মোট ২৭০ কোটি অগ্রণী ব্যাংকের মতিঝিল প্রিন্সিপাল শাখা থেকে ঋণ হিসেবে গ্রহণ করেন। এই তিনটি ভূয়া কোম্পানি।
যদিও কাগজপত্রে তিনি ৮১০ কোটি টাকার জামানত দেখিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, যে নথিপত্র জামানত হিসেবে রেখেছেন তা সবই জাল। এভাবে অগ্রণী ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ২৭০ কোটি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে অভিযোগ আসে। অভিযোগটি আমলে নিয়ে গত ১৮ মে অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা যাচাই করতে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।