• মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪

দারিদ্র্য সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করুন-প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত: ১১:১৩ পিএম, ১ এপ্রিল ১৭ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৫ বার

সংসদ রিপোর্টার :  দারিদ্র্য অপুষ্টিসহ সব সামাজিক অসমতা এবং একই সঙ্গে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের PM_ipu-www.jatirkhantha.com.bdবিরুদ্ধে লড়াইয়ে একযোগে কাজ করার জন্য আইপিইউ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। তবে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম মূল সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষুধা ও অপুষ্টি।

বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলোতে শিশুরা পুষ্টির অভাবে পিছিয়ে পড়ছে। কিন্তু অন্যদিকে বিশ্বে একদল মানুষ প্রাচুর্যের মধ্যে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দরকার একটু সহযোগিতা। পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে সবাই এগিয়ে এলে বিশ্বকে এক মুহূর্তে ক্ষুধামুক্ত করা সম্ভব।’

শনিবার সন্ধ্যায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত ১৩৬তম আইপিইউ সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ বর্তমানে বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। সবাইকে ঐক্যদ্ধভাবে এ সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। তা না হলে আবার অন্ধকার যুগে ফিরে যেতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্ব নতুন এক উপদ্রবের মুখোমুখি হয়েছে। সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ নিরীহ মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে। মানুষের শান্তি বিনষ্ট করছে। জঙ্গিবাদ আজ কোনো নির্দিষ্ট দেশের সমস্যা নয়, এটি বৈশ্বিক সমস্যা। আমাদের সবাইকে ঐক্যদ্ধভাবে এ সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। তা না হলে আমরা আবার অন্ধকার যুগে ফিরে যাবো।

প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সম্মেলনে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের জনপ্রতিনিধিরা এই সম্মেলন থেকে গৃহীত পরিকল্পনা নিজ নিজ দেশে বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে বিশ্বকে শান্তি, উন্নতি ও প্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য দারিদ্র্য বিমোচন, জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা এবং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এই লক্ষ্য পূরণে আপনারা যে পরিশ্রম করছেন, তা সফল হবে। আপনাদের পরিশ্রম সার্থক হবে।’

বাংলাদেশে আইপিইউয়ের ১৩৬তম সম্মেলন আয়োজনের ঘটনাকে দেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সংসদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৮৬ সালে আমি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত আইপিইউ সম্মেলনে অংশ নিয়েছি। এই সম্মেলনকে আমি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। কারণ গণতন্ত্র কেবল কোনও রাজনৈতিক ব্যবস্থা নয়, এটা মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের একটি মাধ্যম। আইপিইউ সম্মেলন গণতন্ত্রের এই উদ্দেশ্য পূরণে ভূমিকা রাখে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দেশ সামরিক শাসকের অধীনে চলে যায়। আমি দেশে ফিরে শুরু করি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম। জনগণের অধিকার সুরক্ষিত রাখার জন্যই সবসময় চেষ্টা করি। কিন্তু এই পথ মসৃণ ছিল না। আমাকে কারাবরণ করতে হয়েছে, মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছে, এমনকি প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে আমাকে।

ওই হামলায় আমাদের সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। তবু গণতন্ত্র সুরক্ষিত রাখার সংগ্রাম থেকে পিছিয়ে আসিনি।’ বক্তব্যের শুরুতেই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অতিথিদের উষ্ণ অভিনন্দন ও স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। বক্তৃতার শেষে প্রধানমন্ত্রী আইপিইউয়ের অ্যাসেম্বলির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।