দক্ষ জনবল ঘাটতিই রেল উন্নয়নের অন্তরায় : রেলপথ মন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার: ১ জুন ২০১৪: রেলওয়েতে প্রায় ৪০ ভাগ কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া উপসহকারী প্রকৌশলীর চার শতাধিক পদ শূন্য থাকায় একজনকে চারজনের কাজ করতে বাঁধ্য করা হচ্ছে। গতকাল রোববার সকাল ১১টায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ রেলওয়ে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি আয়োজিত ‘জনস্বার্থে রেলওয়ের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি অপরিহার্য’ শীর্ষক এক সেমিনার বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, রেলের বর্তমানে প্রধান সমস্যা হচ্ছে, জনবল সংকট। দক্ষ জনবল ঘাটতিই রেলের উন্নয়নের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, শিগগিরই জনবল সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এছাড়া রেলের আরো যেসব সমস্যা রয়েছে, তা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
সেমিনারে রেলের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিভিন্ন দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. তাফাজ্জল হোসেন বলেন, রেলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে পূর্ব ও পশ্চিমে কিছুটা বেতন বৈষম্য রয়েছে। এ বেতন বৈষম্য কমানো হবে।
মূলপ্রবন্ধে বাংলাদেশ রেলওয়ে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার ভৌমিক বলেন, প্রতিবছরই রেলে পুরনো কর্মচারী অবসরে যাচ্ছেন। কিন্তু, তাদের শূন্য পদ পূরণ হচ্ছে না। ১৮ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীর পদ বিলুপ্ত হলেও কর্মকর্তার পদ বিলুপ্ত হয়নি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি মো. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, অবসরজনিত কারণে এবং দক্ষ লোকবলের অভাবে কাজের মান সন্তোষজনক না হওয়ার রেলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
সেমিনারের পর সংগঠনটির ৯ম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠান শুরু হয়।