• বৃহস্পতিবার , ১৪ নভেম্বর ২০২৪

তাহলে কে খুন করেছিল ফুলকে ?


প্রকাশিত: ৭:১২ পিএম, ১৫ নভেম্বর ১৬ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪২ বার

হাইকোর্ট রিপোর্টার  :  প্রায় ১৬ বছর আগে রাজধানীর মালিবাগে কলেজছাত্রী রুশদানিয়া বুশরাকে ধর্ষণের পর হত্যা eull-www-jatirkhantha-com-bdমামলায় নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টের রায়ে সাজা পাওয়া দুইজনসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রায় দেন।

আপিল বিভাগ রায়ে, নিম্ন আদালতে ও হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এম এ কাদের ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কাদেরের স্ত্রী রুনা আক্তারকে খালাস এবং নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও পরে হাইকোর্টে খালাস পাওয়া কাদেরের দুই শ্যালক শেখ শওকত আহমেদ ও শেখ কবির আহমেদের খালাস আদেশ বহাল রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আদালত সন্দেহবশঃত আসামিদের সাজা দিয়েছিলেন। বুশরাকে ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে তারা জড়িত ছিলেন না। আপিলে তারা খালাস পেয়েছেন। অজানা ব্যক্তিরা বুশরাকে ধর্ষণ ও হত্যা করেছে বলে জানান সিনিয়র এই আইনজীবী।

এর আগে ২০০৩ সালে এই মামলার চার্জশিটভুক্ত চার আসামির মধ্যে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। পরে ২০০৭ সালে হাইকোর্টের রায়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক এম এ কাদেরের মৃত্যুদণ্ড এবং তার স্ত্রী রুনা আক্তারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকে, অন্যরা খালাস পান।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুইপক্ষই আপিল করেছিল। মঙ্গলবার আপিল বিভাগের রায়ে দুই আসামির আপিল মঞ্জুর হয়, ফলে খালাস পান তারা। অন্যদিকে হাইকোর্টে দুই আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল সর্বোচ্চ আদালত খারিজ করে দেয়ায় আগের রায়ই বহাল থাকে।

রাষ্ট্রপক্ষ এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করবে কি না জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দীলিরুজ্জামান বলেন, তারা পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পেলে তখন দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন। ২০০০ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরী পাড়ার বাসায় খুন হন সিটি কলেজের ছাত্রী রুশদানিয়া বুশরা ফুল।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্ষণের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয় বুশরাকে।এ ঘটনায় বুশরার মা লায়লা ইসলাম বাদী হয়ে পরের দিন রমনা থানায় এই মামলা দায়ের করেন। বুশরার বাবা সিরাজুল ইসলাম পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন।