আজ ‘নটআউট ১০০’ ওয়ানডে’তে বিশ্ব দেখবে তাসকিনের গতির জাদু
প্রিয়া রহমান : আজ বুধবার এক ঐতিহাসিক মূহুর্ত উদযাপন করবে বাংলাদেশের টাইগাররা। আর সেটা হচ্ছে আজ টাইগারদের ‘নটআউট ১০০’ ম্যাচ জয়ের পালা।আজ জিতলেই টাইগাররা শততম ওয়ানডে জয়ের ইতিহাসে নাম লেখাবেন। আর এজন্যে আজ মুখিয়ে আছেন তাসকিন, সাকিব, রুবেল, তামিম, মাহমুদুল্লাহ ও তাইজুল।তবে আজ ইতিহাস সৃষ্ঠি করবেন প্রথম ম্যাচের নায়ক তাসকিন। আজ তাসকিন দেখাবেন তার সেরা ইয়র্কার, অফ কাটারে’র রকেট স্পিড জাদু।এই জাদুতে ম্যাসাকার হয়ে যেতে পারে আফগানরা।
আর এজন্য চাই আর একটি জয়।এ জয় পেলেই ওয়ানডেতে জয়ের সেঞ্চুরি পূরণ করবে বাংলাদেশ। বুধবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিততেই মাইলফলকটা ছুঁয়ে ফেলতে পারে মাশরাফিরা। ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর পেরিয়ে গেছে ৩০ বছর। এই কয়েক বছরে বাংলাদেশ খেলেছে ৩১৩টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। জিতেছে ৯৯টিতে। গত রবিবার আফগানদের বিপক্ষে আসে ৯৯তম জয়টি।
সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে জিতেছে হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বে। তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ জিতেছে ২৯টি ম্যাচ। পরের জায়গায় সাকিব আল হাসান জিতেছেন ২৩টি। তৃতীয় অবস্থানে মাশরাফি বিন মর্তুজা ২১টি, মুশফিকুর রহিম ১১টি, মোহাম্মদ আশরাফুল ৮টি, খালেদ মাহমুদ ৪টি, আমিনুল ইসলাম ২টি এবং আকরাম খান একটি ম্যাচে জয়ী অধিনায়ক।
বুধবার ৩১৪তম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২২ গজের লড়াইয়ে নামবে টাইগাররা। এই ম্যাচ জিতলেই টাইগাররা পূর্ণ করবে জয়ের সেঞ্চুরি। নিজেদের প্রথম জয় এসেছিল ১৯৯৮ সালে। আকরাম খানের নেতৃত্বে ২৩তম ম্যাচে ভারতের হায়দরাবাদে কেনিয়াকে হারিয়েছিল আকরাম-বাহিনী।
অন্যদিকে বাংলাদেশের ২৫তম জয়টি এসেছিল ২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর। ওইদিন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরেই জয়ের আনন্দে মাতে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
জয়ের হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ হয়েছিলো ২০০৯ সালের ১৬ আগস্ট। বুলাওয়াতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। ৭৫তম জয় আসে ২০১২ সালরে ৮ ডিসেম্বর ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে মিরপুরে। এখন অপেক্ষা শততম জয়ের। যা পূর্ণ হতে পারে আগামীকাল বুধবারই।
মাশরাফি অবশ্য চাইলেন আগামীকালই যেন স্পর্শ করা যায় মাইলফলকটা। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘এটা বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন হবে। আমরা চেষ্টা করব দ্বিতীয় ম্যাচেই যেন সেটা হয়। এজন্য আমাদেরকে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, এবং সবচেয়ে বেশি জয়ও তাদের বিপক্ষেই। এখন পর্যন্ত তাদের বিপক্ষে ৬৭ ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ৩৯টিতে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। তাদের বিপক্ষে ৩৮ ম্যাচ খেলে জয় চারটি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৫টি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে চারটি। ভারতের বিপক্ষে ৩২ ম্যাচে টাইগারদের জয় ৫টি। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ৭টি জয় এসেছে ২৮ ম্যাচ থেকে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আবার ৮ জয় এসেছে ২৫ ম্যাচ খেলে।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯টি ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে মাত্র একটিতে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৭ ম্যাচে টাইগারদের জয় তিনটি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে তিনটি। একসময়কার শক্তিশালী প্রতিপক্ষ কেনিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলেছে ১৪টি ম্যাচ, সেখানে তাদের জয় সংখ্যা ৮টি। আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে টাইগারদের ৭ ম্যাচে ৫ জয়।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা চার ম্যাচের সবকট’টিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের মধ্যে দুটি জিতেছে লাল-সবুজরা। বারমুডা, কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলে বারমুডার সঙ্গে শতভাগ জয় থাকলেও বাকি দুই দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় একটি।হংকং ও আরব আমিরাত বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এখানে জিতেছে টাইগাররাই।