• বুধবার , ২৭ নভেম্বর ২০২৪

তারকাদের হাহাকার আর্তনাদ-ইউনাইটেড হাসপাতালে দিতিকে অশ্রুসিক্ত বিদায়


প্রকাশিত: ১০:৪৭ পিএম, ২০ মার্চ ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২২৫ বার

1আসমা খন্দকার  :  তারকাদের হাহাকার আর্তনাদ-। ইউনাইটেড হাসপাতালে দিতিকে অশ্রুসিক্ত বিদায় জানালো সহকর্মীরা।দিতির বিদায়ে একবারের মতো দেখার জন্য ছুটে আসেন তার সহকর্মীরা। ইউনাইটেড হাসপাতালে তারকাদের শোকাতুর আহাজারিতে ভারি হয়ে যায় হাহাকারের বাতাস।

ওর হাসিমাখামুখ চোখে ভাসছে – শবনম

দিতির সঙ্গে আমি দুটো চল”িচত্রে অভিনয় করেছি। একটি পাকিস্তান বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার ‘লেডি কমান্ডো এবং অন্যটি সুভাষ দত্তের ‘সহধর্মিনী’। আপাদমস্তক একজন ভালো মানুষ ছিলো দিতি। সবসময়ই হাসি তার মুখে লেগেই থাকতো। এমন মানুষ ইন্ডাষ্ট্রিতে বিরল। আমি তার আত্নার শান্তি কামনা করছি।

বোনটাকে হারালাম- চিত্রনায়ক উজ্জল

দিতির প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চল”িচত্র ‘আমিই ওস্তাদ’ চল”িচত্রে আমি তার বড় ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। আর তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ চল”িচত্র ‘রাজা বাবু’তে আমার স্ত্রীর ভ”মিকায় অভিনয় করেছিলো। সত্যি বলতে কী খুব দুঃখ হ2য় দিতির এভাবে চলে যাওয়াটা নিয়ে। এটা সত্যি যে শিল্পীদের অনেক যু” করতে হয়, সংগ্রাম করতে হয়। দিতির সেই সাহস ছিলো যু”ে জয়ী হবার। জীবন যু”ে দিতি জয়ী হয়েছিলো। কিন্’ আমি যেন আমার ছোটবোনটাকে হারালাম!

হাসি-খুশী মানুষ ছিল- ফেরদৌস

আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘কাল সকালে’ চলচ্চিত্রে দিতি আপুর সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিলো আমার। এরপর আর কাজ করার সুযোগ হয়নি। দিতি আপু অসাধারন একজন মানুষ ছিলেন। তার মতো এতো বিনয়ী, এতো হাসিখুশি মানুষ চলচ্চিত্রে দেখিইনি আমি। আমার দুভার্গ্য যে হয়তো তাকে শেষ দেখাটা দেখতে পারবোনা। কারণ আমি একটি জরুরী কাজে দিনাজপুর এসেছি।

সোহেল খুন হবার পর মেয়েটা খুব কষ্ট করে দুই ছেলে মেয়েকে  মানুষ করার চেষ্টা করেছে.-ববিতা

3দিতি আর আমি বলা যায় আমরা একই পরিবারের সদস্য। সোহেল খুন হবার পর মেয়েটা খুব কষ্ট করে দুই ছেলে মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করার চেষ্টা করেছে। সত্যি বলতে কী দিতি আমার জুনিয়য়র হলেও তারসঙ্গে আমার সম্পর্কটা ছিলো বন্ুর মতো। আউটডোরে যখন শুটিং-এ যেতাম তখন আমরা এক গাড়িতে করেই শুটিং-এ যেতাম। গল্প করতে করতে পথ হয়তো শেষ হয়ে যেতো কিন্’ গল্প শেষ হতোনা। আমার নিজের প্রযোজনা সংস’া থেকে ‘চ্লিদাস ও রজকিনী’ চল”িচত্রে তাকে নিয়ে কাজ করেছিলাম। একজন ডেডিকেটেড শিল্পী ছিলো দিতি। সর্বশেষ তাকে যখন দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম তখন আমাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে চুমো খাচ্ছিলো বার বার। সেই শেষ স্ম”তি কখনোই ভুলবোনা। দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্তবাসী করেন।

5একজন ভালো সহকর্মী-ইলিয়াস কাঞ্চন

আমাদের প্রত্যেককেই দিতির মতো একদিন চলে যেতে হবে। তার এভাবে চলে যাওয়া থেকে আমাদের সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে যে আমাদেও কে যেকোন সময় আল্লাহর কাছে চলে যেতে হবে। দিতি আমার একজন ভালো সহকর্মী ছিলেন। তার চলে যাওয়ায় শুধু একটি কথাই বলবো আর তা হলো আল্লাহ যেন তার গুনাহ ক্ষমা করে দিয়ে তাকে বেহেস্ত নসীব করেন।
1
কতটা উদার হতে পারে-মানুষ রিয়াজ

দিতি আপুর সঙ্গে চলচ্চিত্রের আসার প্রথমদিন থেকেই আমার বেশ ভালো পরিচয় এবং পারিবারিক সম্পর্ক। সৈয়দ হারুনের একটি চলচ্চিত্রে তারসঙ্গে প্রথম অভিনয় করি। এরপর ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘সুইটহার্ট’সহ আরো বেশকিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করি। একজন মানুষ কতোটা উদার আর মহান হতে পারেন দিতি আপা ছিলেন তার যথাযথ উদাহরণ। এমন মানুষ সত্যিই আমাদের চলচ্চিত্র জগতে খুবই কম আছেন। তার এভাবে চলে যাওয়াটা সত্যিই মেনে নেবার মতো নয়। দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত নসীব করেন।

আমার প্রিয় মানুষ ছিল-পূর্নিমা

চলচ্চিত্রে আমার প্রিয় মানুষদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন দিতি আপা। তারএভাবে চলে যাওয়াতে সত্যিই ভীষণ ক্ষতি হয়েগেলো আমাদের। দিতি আপু শুধু একজন অভিনেত্রীই ছিলেন না আমাদের একজন অভিভাবকও ছিলেন।  একজন মানুষ কতোটা বড় মনের হতে পারে তিনি যেন তারই উদহারণ।