তবুও ন্যুডিটিতে আমার আপত্তি-
বিনোদন ডেস্ক রিপোর্টার : সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছিলেন ছোট পর্দায়। এখন বড় পর্দাতে নিয়মিত মুখ তিনি। শুধা ঢাকাই সিনেমাতেই নয়, কাজ করছেন কলকাতার সিনেমাতেও। বেশ প্রশংসাও পাচ্ছেন তিনি।
বিশ্ব বঙ্গ সম্মেলনে মার্কিন মুলুকে উড়ে যাওয়ার আগে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজারকে দিয়ে যান সাক্ষাৎকার। সেটি জাতিরকন্ঠের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
‘রাজকাহিনি’তে আপনার সাহসী ডায়লগ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। চরিত্রটিও বেশ সাহসী ছিল। কিন্তু এই সাহস পর্দায় আপনি কতটা দেখাতে পারেন?
চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে অ্যাস্থেটেক্যালি কোনও কিছু প্রেজেন্ট করা হলে ভেবে দেখতে পারি।
লিপলক?
(একটুও না ভেবে) না এতটা হয়তো আমি করব না।
তা হলে তো নিশ্চয়ই ন্যুড সিনেও আপত্তি রয়েছে?
আসলে ন্যুডিটি দেখানোর মধ্যে অনেক সময় দৃষ্টিভঙ্গীর সমস্যা থাকে। অনেক সময় ন্যুডিটি দেখিয়েও সিনটা ততটা আবেদনময় দেখানো যায় না। আমরা মেয়েরা আসলে বাণিজ্যিকীকরণের উদ্দেশ্যে বহু দিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছি। এর বাইরে ভারতও নয়, বাংলাদেশও নয়। কিচ্ছু না দেখিয়েও কোনও সিকুয়েন্সকে অনেক বেশি সেন্সেবল অ্যাপ্রোচ দেয়া যায়।
সব ন্যুডিটিই কি খারাপ?
না। তা বলছি না। যতই হোক, আমি একজন মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারের মেয়ে। আমার মূল্যবোধ কখনওই ছাড়তে পারব না।
পরিচালক যদি আপনাকে কনভিন্স করতে পারেন?
(দৃঢ় ভাবে) না। তবুও ন্যুডিটিতে আমার আপত্তি রয়েছে।
এটা কি শিল্পী হিসেবে কোনও ট্যাবু থেকে গেল না? না। তা নয়। আমি তো ‘রাজকাহিনি’তে বলেছি, ‘এইডা হইল ছাতি…যা দিয়ে মা সন্তানরে দুধ খাওয়ায়।’ এর মধ্যে তো অশ্লীলতার কিছু দেখি না।
টলিউডে আপনার কোনও বন্ধু আছে?
সোহিনী, সায়নী, প্রিয়ঙ্কা, সুদীপ্তাদি যারা আমার সঙ্গে ‘রাজকাহিনি’তে কাজ করেছিল তাদের সঙ্গে খুব ভাল র্যাপো। জানি না এটা বন্ধুত্ব কি না। আমাদের প্রায়ই দেখা হয়। আমরা সকলে সকলের পাশে আছি। এটুকু জানি।
এ দেশে এসে মন কেমন হলে কাকে ফোন করবেন?
ইন্ডাস্ট্রির বাইরের বন্ধুদের বা এখানকার আত্মীয়দের ফোন করব।
কলকাতার রাস্তায় মাঝরাতে বিপদে পড়লে?
অরিন্দমদা।
বিয়ে করছেন কবে?
(কিছুটা আনমনা) জানি না। হুট করে করে নিতে পারি, আবার নাও করতে পারি। আসলে রোডম্যাপ ঠিক করে জীবনে কিছুই করিনি তো। আগের বিয়েটা কোনও কারণে ওয়ার্ক করেনি বলে একটা ভয়ও আছে। আসলে আবার যদি বিয়ে করি সেটা সম্মানের সঙ্গে টিকিয়ে রাখার জন্য সবরকম চেষ্টা করব।
কোনও বিশেষ বন্ধু রয়েছে আপনার?
(একটু পজ) আছেন। তিনি ঢাকার মানুষ। কোনও ডিসিশন নিলে সকলে এমনিই জানতে পারবেন।
জীবনে প্রিয়তম মানুষ?
মা।
অবসাদ এলে কী করেন?
ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করি। প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলি।
বাংলাদেশ মানেই এখন হেডলাইনে ‘ব্লগার খুন’। কী বলবেন?
বাংলাদেশের একজন হিসেবে বিষয়টা আমার খারাপ লাগে। একই দেশে নানা রকমের মতবাদ থাকতে পারে, মতের অমিলও থাকতে পারে। সেটা নিয়ে কথা হতে পারে। কিন্তু এর জন্য কেউ কাউকে মেরে ফেলতে পারে না। এটা অন্যায়। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক।
আপনি তো অভিনেত্রী হতে চাননি, ছোট থেকে একটা লুকনো ইচ্ছে ছিল তো। সেটা শেয়ার করবেন নাকি?
(তুমুল হাসি) হ্যাঁ। এটা ঠিক। আমি ছুতোর হতে চেয়েছিলাম। ওই যখন র্যাঁদা দেয় না, ওটা দারুণ লাগে। কখনও অভিনেত্রী হতে চাইনি। যতটুকু করেছি নিজেকে প্রমাণ করে করে এগোতে হয়েছে। অভিনয়ের ভিতর দিয়ে নিজের এক ধরনের মুক্তি খুঁজে পেয়েছি। তাই এখন অভিনয় ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারি না।