• মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪

তনুর ডিএনএ প্রতিবেদন নিয়ে তোলপাড়-ভেজাইনাল সোয়াবে পুরুষের শুsক্রানু


প্রকাশিত: ২:৪১ এএম, ৮ জুন ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৬ বার

কুমিল্লা জেলা .প্রতিনিধি :  কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর পুরো ডিএনএ প্রতিবেদন মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডি এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। তনুর ভেজাইনাল সোয়াবে পৃথক তিনজন পুরুষের মিলেছে।

কুমিল্লা 1মেডিক্যাল কলেজের (কুমেক) ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের সভাপতি ডা. কামদা প্রসাদ সাহা এবং সিআইডি-কুমিল্লার পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রবিবার তনুর পুরো ডিএনএ প্রতিবেদন ফরেনসিক বিভাগে হস্তান্তর করতে কুমিল্লার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগম সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

জানা গেছে, ২৯ মে তনুর ভেজাইনাল সোয়াব ও দাঁতের ডিএনএ প্রতিবেদন ফরেনসিক বিভাগে হস্তান্তর করতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মুস্তাইন বিল্লাহ্।

কিন্তু তনুর ভেজাইনাল সোয়াব, অন্তর্বাস, শরীরের অংশ বিশেষ, কাপড় ও চুলসহ ভিন্ন অংশের সকল ডিএনএ প্রতিবেদন এক সঙ্গে সন্নিবেশ থাকায় পুরো প্রতিবেদনই ফরেনসিক বিভাগে সরবরাহ করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সিআইডি পুনরায় রবিবার আদালতে আবেদন করে। একইদিন আদালত তনুর সকল ডিএনএ’র রিপোর্ট মেডিক্যাল বোর্ডকে সরবরাহের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেয়।

মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা জানান, ‘ডিএনএ প্রতিবেদনটি পাওয়া গেছে। বোর্ডের সভা আহ্বান করে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২১ মার্চ দুপুরের দিকে কুমেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. শারমিন সুলতানা তনুর ময়নাতদন্ত করেন। ৪ এপ্রিল প্রকাশ করা প্রথম ময়নাতদন্তে তনুর মৃত্যুর কারণ বা ধর্ষণের আলামত উল্লেখ ছিল না।

৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ১৪ মে কুমিল্লার আদালতে এসে পৌঁছায় নিহত তনুর সাতটি বিষয়ের ডিএনএ প্রতিবেদন।

১৬ মে তনুর ভেজাইনাল সোয়াবে পৃথক তিনজন পুরুষের শুক্রানু পাওয়া যাওয়ার খবর সিআইডি থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর তার মৃত্যু নিয়ে আবারো আলোচনার ঝড় উঠে। ওই ডিএনএ প্রতিবেদন পেতে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।